আমাদের কাগজ রিপোর্ট: মন্ত্রী এমপিরা শেখ হাসিনার মতো কন্ঠ ছেড়ে কথা বলে না কেন প্রশ্ন রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুক পোস্ট করেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এড. আনিসুর রহমান মিঠু।
তিনি লেখেন, আওয়ামী লীগের সকলের উচিৎ শেখ হাসিনার মতো করে কন্ঠ ছেড়ে কথা বলা। শেখ হাসিনা একটি প্রবাহমান নদীর মতো। তিনি টিকে আছেন বলেই বহু এমপি, মন্ত্রী, নেতা,মুই কি হনুরে ভাব দেখিয়ে চলতে পারছেন।
তিনি আরো লেখেন, নেত্রী যখন পরিস্কার ভাবে বলে দিলেন আটলান্টিক পেরিয়ে আমাদের না গেলেও চলবে, তখন কিন্তু আমি অন্য এমপি, মন্ত্রী, নেতাদের মুখে নেত্রীর মতো করে বলতে দেখছিনা! অন্য সকল ক্ষেত্রে নেতারা নেত্রীর বক্তব্যের সাথে হুবহু কন্ঠ মিলিয়ে কথা বলে থাকলেও এ ক্ষেত্রে যেনো কৌশলীভাবে কথা বলছেন।নিশ্চয়ই এর পেছনে কোননা কোন কারন আছে, যা আমি ঠিক ধরতে পারছিনা। তারমানে কি এই যে, নেত্রী সমস্যায় পরলেও আমরা যেনো নিরাপদ থাকি? অথচ এ সকল মানুষদের নেত্রী বহুবার করে এমপি মন্ত্রী ইত্যাদি বানিয়েছেন।
"শেখ হাসিনার মতো সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাঁকে টিকিয়ে রাখা গেলেই এ দেশ সমৃদ্ধ ও মর্যাদাশালী জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাড়াবে বিশ্ব দরবারে।"
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সাবেক সদস্য আরো লেখেন, পৃথিবীর বহুদেশে নির্বাচনই হয়না। যেমন চীন, উত্তর কুরিয়া, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, সিরিয়া, ইরাক ইত্যাদি। রাশিয়ার নির্বাচন কেমন হয় বিশ্ববাসী জানে। তাদের জন্য কোন ভিসা নীতি নেই। বাংলাদেশের জন্য কেন ? পাকিস্তানের আকাশ বাতাসও চাচ্ছে ইমরান খান নেতৃত্বে আসুক, আমেরিকা সমর্থন করছে সেনা সমর্থিত সরকারকে। সেখানে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
"বিএনপি বাংলাদেশকে ইউক্রেন বানাতে চায়। তাই তারা আমেরিকার সকল সিদ্ধান্তের সাথে একমত। যেমন ৭১ সালে ওদের সাথে একমত ছিলো জামায়াতে ইসলামি ও পাকিস্তানিরা।"
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো লেখেন, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি চাইনা, ইউক্রেনের মতো অবস্থায় বাংলাদেশ পরুক। ১৬ বছর আগে আমি আমেরিকায় গেলেও একবারের জন্যও নাগরিকত্বের আবেদন করিনি। আমার অনেক ক্রটি বিচ্যুতি অবশ্যই আছে। কিন্তু আমার দেশপ্রেম এবং আর্থিক সততা নিয়ে নিজের মনে কোন সন্দেহ নেই।এবং এটাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনের কারনেই। বিভিন্ন টকশোতে মন্ত্রীদের আমেরিকা প্রশ্নে মিউ মিউ ভাব আমাকে হতাশ করেছে। কিসের এতো দ্বিধা আপনাদের। আমেরিকা না গেলে কি হবে ?
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লেখেন, আমার মাতৃভূমির জন্য কতো কতো মানুষ জীবন দিয়ে গেলো।সেই মাতৃভূমির সমৃদ্ধির জন্যকি আমাদের কি উচিতনা শেখ হাসিনার পক্ষে দাড়ানো?? ক্ষমতা ছেড়ে দিলে শেখ হাসিনার কোন ক্ষতি নেই। ক্ষতি হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের। গরিব দুঃখি অসহায় ও নিরন্ন জনতার। বারবার ক্ষমতা বদলের খেলায় কিছু মানুষ লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্র।আমেরিকার উচিৎ তাদের মতবাদ মধ্যপ্রাচ্যের ২৪টি দেশ এবং চিন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়াকে শুনানো।
"আমরা একটি জ্ঞান নির্ভর সমৃদ্ধ জাতি হতে চাই।যেদেশে সকল ধর্মের মানুষেরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।কোন ধর্মের লোক অন্য ধর্মের কর্মসূচি বা নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত দিবেন না। সকল ক্ষেত্রে সুশাসন থাকবে।ছাত্ররা উন্নত এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পাবে।"
তিনি ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমার দেশের চিকিৎসক হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক। আমার দেশে পড়ালেখা করতে আসবে অন্য দেশের ছাত্র।আমার দেশ ক্রীড়ায় হবে বিশ্ব মানের।এরক একটি দেশের স্বপ্ন দেখতে হলে, দেশের সকল নাগরিককে সাহসী হতে হবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মতো।
"দেশপ্রেমিক শিক্ষিত, প্রগতিশীল, সচেতন জনতা এক থাকলে, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধি কেউ ঠেকাতে পারবেন। দরকার শুধু হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত করা।"
আমাদের কাগজ/টিআর






















