ডেস্ক রিপোর্ট।।
বিদেশে বসেই চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করছে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা।
সাজ্জাদ বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগের আট নেতা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। সাজ্জাদ ২০১৭ সালে জামিন নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে পুলিশের দাবি। সহযোগীসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন ধরেই চট্টগ্রামের মুরাদপুর- বিবিরহাট ও নয়ারহাট এলাকায় নানানভাবে ব্যবসায়িদের কাছে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দাবি- শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ও তার দুই সহযোগীই এসব চাঁদা দাবি করে আসছে। যাদের তিনজনেরই অবস্থান বিদেশে।
গেলো ১৯শে সেপ্টেম্বর কাতারপ্রবাসী এক ব্যবসায়ীর কাছে দাবি করা হয় ৪ লাখ টাকা। চাঁদা দিতে না চাইলে চট্টগ্রামে তার দোকান জ্বালিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, চাঁদা দাবি করেন সাজ্জাদের সহযোগী কাতারে থাকা ম্যাক্সন। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, তারা নাম ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে চাঁদা দাবি করে ফোন করে থাকে। আমরা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।
একই মাসে সাজ্জাদের সহযোগীরা চাঁদা না পেয়ে বায়েজিদ এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা করে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ সাজ্জাদের ৫ সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্নজনের কাছে চাঁদা দাবি এবং বিদেশে টাকা পাঠানোর তথ্য পায় পুলিশ।
বায়েজিদ থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, কাতার থেকেই এসব চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে বড় ধরণের একটা অ্যামাউন্টের চাঁদা দাবি করে। এসব বন্ধে আমরা আন্তর্জাতিক যেসব গোয়েন্দা সংস্থা আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
সাজ্জাদ বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে অবস্থান করছেন। ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে কাতারে পালিয়ে যায় সাজ্জাদের দুই সহযোগী ম্যাক্সন ও সরওয়ার।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। অনেকে চট্টগ্রাম থেকে সরে বাইরে অবস্থান করছে। তারা দেশের অভ্যন্তরে হোক বা বাইরে হোক যেখানেই থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে শিবির ক্যাডারদের সঙ্গে কথিত যুবলীগ নেতা একরামের নামও উঠে এসেছে।