ডেস্ক রিপোর্ট।।
স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে এবং নূর হোসেনকে নিয়ে অসম্মানিত বক্তব্য প্রদানকারী জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা’র শাস্তি দাবি করেছেন সেই সময়ের আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
নূর হোসেন নেশাগ্রস্থ ছিলেন, ইয়াবা এবং ফেন্সিডিল আসক্ত ছিলেন এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে রাঙ্গা’র শাস্তি দাবি করে বিবৃতি প্রদান করেছেন ৯০-এর ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সংবাদপত্রে দেয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার এবং তার সহযোগিদের ইতিহাসের আস্তাকুড়ে থাকার কথা ছিল। ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতির সুবিধাভোগী রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা এখন গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে যেমন অপমানিত করছে তেমনি সংগ্রামী চরিত্রগুলোকেও কলংকিত করতে উদ্যত।
এরশাদ স্বৈরাচারের সহযোগিরা নানা সময়ে সুযোগ সুবিধা বুঝে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে চেলেছে যা দেশের সচেতন মানুষ সহ্য করবে না। বিবৃতিতে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান হয়।
বিবৃতিতে বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনা না করা হলে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের জন্য রাঙ্গার শাস্তি দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৯০ এর গণআন্দোলনের শহীদ নেতৃবৃন্দের হত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে উত্থাপিত ছাত্র সমাজসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের গণতান্ত্রিক দাবি বাস্তবায়ন করার সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে নূর হোসেনসহ শহীদের স্বপ্ন পূরণের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বৈরাচার ও তার সহযোগিদের রাজনৈতিকভাবে বয়কটেরও আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী নেতৃবৃন্দ হলেন- সাবেক ছাত্রনেতা ডা. মোশতাক হোসেন, আনোয়ারুল হক, নাজমুল হক প্রধান, শফি আহমেদ. মোশরেফা মিশু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বেলাল চৌধুরী, বজলুর রশীদ ফিরোজ, রাগীব আহসান মুন্না, রাজেকুজ্জামান রতন, আ. ক. ম. জরিহরুল ইসলাম, সাজ্জাদ জহির চন্দন, আসলাম খান প্রমুখ।