ডেস্ক রিপোর্ট ।।
রক্তাক্ত ভয়াল-বিভীষিকাময় ২১শে আগস্ট আজ। রাজনৈতিক ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি কলঙ্কময় দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার ১৫তম বার্ষিকী। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে অকল্পনীয় এক নারকীয় গ্রেনেড হামলার ঘটনা বাংলাদেশে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের জন্ম দেয়। হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।
২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।
এ হামলায় গুরুতর আহন হন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। তিনি সেদিন গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ তিন মাস বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। এখনও তার শরীরে রয়ে গেছে একাধিক স্প্লিন্টার। এখনও সেই ভয়াবহ হামলার মানসিক ও শারীরিক ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
আরো পড়ুন: চলমান চক্রান্ত, সীমাহীন নিষ্ঠুরতা
গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সেদিনের হামলা সম্পর্কে বলেন, নেত্রীর বক্তব্য শেষ হচ্ছে বুঝতে পেরে নেত্রীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যখন যাব, তখনই হামলা হয়েছে। হামলার পর প্রথম কিছুই বুঝতে পারিনি। কতক্ষণ জ্ঞান ছিল না। যখন জ্ঞান ফিরেছে প্রথমেই জানতে চেয়েছি নেত্রী কোথায়। তিনি ঠিক আছেন জানার পর আমি দেখলাম সারা শরীরে কোন অনুভূতি নেই। কিন্তু, আমি নড়াচড়া করতে পারছি না। এই সময় সাহায্য চাইলে কেউ একজন আমাকে এম্বুলেন্সে করে শ্যামলীর এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সারা শরীরে ব্যান্ডেজ করে। পরে আমাকে নেত্রী ভারত পাঠায়। ভারতে আমার জন্য আগে থেকে তৈরী থাকা এ্যাম্বুলেন্সে করে এয়ারপোর্ট থেকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ৩ মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরি। কিন্তু, তখনও সোজা হয়ে বসতে পারতাম না। এখনও সারা শরীরে স্প্লিন্টার রয়ে গেছে। পূর্নিমা এবং অমবশ্যায় অসহনীয় ব্যাথা করে।
আরো পড়ুন: ২১শে আগস্ট হামলার নির্দেশে খালেদা-তারেক
ক্লিন ইমেজের অধিকারী গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু সারা দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, গরিব, দু:খিদের মন জয় করতে পেরেছেন।
গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু বিগত দিনে দেশবাসীকে জামাত শিবিরের তান্ডব থেকে রক্ষা করতে তার কর্মীদের নিয়ে সব সময় রাজপথে বলিষ্ঠ ছিলেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকর্মীরা গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে তাদের রাজনৈতিক আইডল হিসেবে দেখেন। তিনি দিন রাত সব সময় নেতা কর্মীদের বিপদে ছুটে যান।


















