ডেস্ক রিপোর্ট
নড়াইল-১ আসনের সরকারদলীয় এমপি বিএম কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হককে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এবার তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও তার ৬৫ জন সমর্থকের নামে কালিয়া থানায় মামলা হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ২টার দিকে কালিয়া শহরের বড়কালিয়ার ঘোষপাড়ায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কার্যালয়টি ঘিরে রাখার কাপড় ও নৌকার প্রতিকৃতি পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল ও দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ গভীর রাত পর্যন্ত নৌকার ওই নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকতেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ও ভয়ভীতি দেখাতে সেখানে ৩-৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ফকির মুশফিকুর রহমান ও চন্দনা হকের হুকুমে ওই কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়। আগুন দেওয়ার পর তারা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমানের ‘চামচ’ মার্কার স্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।
মামলায় এমপি কবিরুল হক মুক্তির স্ত্রী চন্দনা হক ও মেয়র পদে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমানকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ফকির মুশফিকুর রহমানের সমর্থক। মামলাটি করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, এটা সাজানো নাটক। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার সমর্থকদের মাঠছাড়া করতে নিজেরা এটি ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
চন্দনা হক উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয়ার অভিযোগে তাকে গত সোমবার সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। চন্দনা হকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
কালিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, মামলা দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জানুয়ারি কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান হীরা। আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান।




















