সারাদেশ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:১৫

যেভাবে বিদ্যুৎ প্রকল্পে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি

ডেস্ক রিপোর্ট

আমি মির্জাপুর থানার এসআই নতুন এসেছি আপনাদের স্যারের সঙ্গে একটু কথা বলবোএভাবেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে কথা বলে অভিনব কায়দায় ডাকাতির সূচনা করে সংঘবদ্ধ একটি দল

গতকাল বুুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন পুষ্টকামুড়ী চরপাড়া এলাকায় নির্মানাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে এতে প্রকল্পটির প্রায় ১৫-১৭ লাখ টাকার মালামাল লুট নগদ লাখ টাকার মতো ডাকাতি হয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি

ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষ মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াসউদ্দিন

প্রকল্পটির নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিচয়ে একজন ব্যক্তি আমাদের সাইটে আসে এরপর তাকে নিয়ে আমি স্যারের রুমে গেলে দেখি আরো দুইজন লোক গেটে থাকা অন্য দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে আসছে একপর্যায়ে আমাদের পরেশ স্যারের ফোন আসলে ডাকাত দলের একজন রিভালবার বের করে আমাদের সবাইকে জিম্মি করে স্যারকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধম মারধোর করে

৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন লোক সাইটে কর্মরত সবাইকে হাত মুখ বেধে প্রথমে একটি টিনের ঘরে পরে সাইটের অন্য একটি বিল্ডিং রুমে উল্টো করে শুইয়ে রাখে আমাদের ফোন-ঘড়িসহ সঙ্গে থাকা সবকিছু নিয়ে নেয় ডিউটি মোতাবেক সাইটে কর্মরত যারাই সাইটে ঢুকেছে একে একে সবাইকে হাত মুখ বেঁধে আটকে রেখেছে কয়েকজনকে মারধোরও করেছে এরপর মধ্যরাতের দিকে সাইটে গাড়ি ঢুকিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়

সাইট সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাকাতির পর ছাড়া পেয়ে রুমে এসে দেখি ট্রাংকে থাকা ৯২ হাজার টাকা নাই এছাড়া অন্য সবার যার কাছে যত টাকা ছিল সবই নিয়ে গেছে

বিষয়ে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি তদন্ত চলছে অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে

সাইটটির ইঞ্জিনিয়ার সালমান হোসেন বলেন, ডাকাতরা আমাদের স্টোর রুমে থাকা গিয়ার কানেক্টর, জিবি ক্যাবল, ফিটিংস ওয়্যারিং ক্যাবল ইত্যাদি সরঞ্জাম নিয়ে গেছে যেগুলোর ক্রয় মূল্য ১৫-১৭ লাখ টাকার উপরে হবে