ডেস্ক রিপোর্ট।।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম কমিশন কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফোন করে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, উপাচার্যের ছেলে প্রতীকের বিভিন্ন অপকর্ম সম্পর্কে অবহিত করতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তার মন্ত্রণালয়ে চায়ের দাওয়াত দিয়ে ডেকে পাঠান। সেখানে উপাচার্যের পুত্রের বিভিন্ন অপকর্ম তার সামনে তুলে ধরা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, আপনার ছেলেকে সামলান। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার জবাবে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তার ছেলের পক্ষে সাফাই গান। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে, তার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। ছাত্রলীগের একটি অংশ তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার ছেলের বিভিন্ন অপকর্মের তথ্যপ্রমাণ তার কাছে দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপাচার্যকে আরও বলেন যে, আপনার ছেলের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবক হিসেবে আপনাকে অবহিত করা আমাদের দায়িত্ব ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিশন কেলেঙ্কারির তদন্তে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা উপাচার্যের ছেলে প্রতীক ইসলামের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে। এ ব্যাপারে রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, জাহাঙ্গীরনহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিশন কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপটেই ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদককে পদ হারাতে হয়েছে। এখন উপাচার্যের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলছেন যে, আমরা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলেছি। যেকোন সময়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, উপাচার্যের সরে যাওয়া না যাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু এখানে যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত করছে। সেই তদন্তের স্বার্থেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতা করার জন্য জাবি উপাচার্যকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।