আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বিয়ের দাওয়াত মানেই ভরপেট খাওয়া-দাওয়া। শেষ পাতে দই আরো কত কি! তবে এই যেন ছিল শেষ খাওয়া। বিয়ের দাওয়াত কাল হয়ে দাঁড়াল মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় আবুল হোসেন নামে এক যুবকের ক্ষেত্রে। ঘরে ফিরলেন লাশ হয়ে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়ে গলায় মাংসের হাড় আটকে মারা যান তিনি। শুক্রবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া বৈরাগীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত আবুল হোসেন পাশ্বর্বতী মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানা গেছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেলে রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন মিয়ার মেয়ে প্রমি আক্তারের বিয়ের দাওয়াত খেতে আসেন গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামের যুবক আবুল হোসেন মোল্লা। খেতে বসে হঠাৎ তার গলায় মাংসের একটি বড় হাড় আটকে যায়। পরে তাকে স্বজনরা সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
সন্ধ্যার দিকে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন আবুল হোসেন মোল্লাকে প্রথমে উপজেলার টেকেরহাটের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আসে। পরে সেখান থেকে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তখন কর্বত্যরত চিকিৎসা ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত যুবকের বাবা আব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, আমার ছেলে দাওয়াত খেতে গিয়ে তার গলায় হাড় আটকে গেলে তাকে বাড়িতে নিয়ে হাড় বের করার অনেক চেষ্টা করেও কোনো কাজ হয় নাই। পরে আমার ছেলেকে সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে জানায়। তবে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।
রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোয়েব হোসেন বলেন, ওই রোগীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় পরিবারের লোকজন নিয়ে এসেছিল। আমরা তাকে জীবিত পাইনি। কি কারণে মারা গেছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সেটা বলা যাবে না।
রাজৈর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয় শুনে হাসপাতালে ফোর্স পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগী পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাদারীপুর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
আমাদের কাগজ/এমটি






















