আমাদের কাগজ ডেস্কঃ টানা তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৌসুমের তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রকৃতির এখন যেন রুদ্রমূর্তি। তেতে ওঠা রোদ্দুরে যেন আগুনের হল্কা ঝরছে। কয়েক দিন ধরে হঠাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকায় তাপে পুড়ছে মাঠ, ঘাট, প্রান্তর। বাইরে-ঘরে কোথাও স্বস্তি নেই। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় ঘর প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হওয়ার পরামর্শ জেলা প্রশাসকের।
তথ্য অনুযায়ী, জেলাতে গত ১২ দিন থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে দুর্বিষহ হচ্ছে জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধান ও অন্যান্য সবজি। কাজ কমে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বেড়ে চলছে রোগ বালাই।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষে শুরু হওয়া এ তাপমাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে। তাপমাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র তাপদাহে চুয়াডাঙ্গাবাসী অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে আছে। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। জীবিকার তাগিদে বের হওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। লোকজন না থাকায় তাদের হাতে কাজও তেমন নেই। ফলে গরম থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের নিচে। তবে আয় কমায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
ভ্যানচালক আবুল বাসার জানান,‘ঈদের কেনাকাটা থাকলেও মানুষ বাজারে আসছে না। তাই ভাড়াও হচ্ছে না, দুপুর হয়ে গেছে এখনও ৫০টাকা ভাড়া হয়নি। এভাবে চললে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে। ঈদের কেনাকাটা তো দূরের কথা।’
তরমুজ বিক্রেতা মুনছুর হোসেন বলেন, ‘এত গরম তারপরও দিনের বেলায় তেমন বেচাকেনা নেই। ইফতারের আগমুহূর্তে বিক্রি বাড়বে আশা করি। কিন্তু অসহ্য এ গরমে দোকানে বসে থাকাই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। জেলা সদরের হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বেড়েছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা ছিলো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এরপর থেকে গত ১২দিন একটানা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ জেলায় রেকর্ড করা হচ্ছে। গত ৩ এপ্রিল ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে প্রতিদিন ক্রমান্বয়ে বেড়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে হয়েছে।
আমাদের কাগজ/এমটি






















