সারাদেশ ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০১:১২

বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করায় জাবির দুই হলে সংঘর্ষ, আহত ২০ 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অনন্ত ২০ জন শিক্ষার্থী। জানা যায়, এ সময় ৫১তম ব্যাচের ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

তথ্য অনুযায়ী, তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের তিন জনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় উভয় হলের মোট ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

জানা গেছে, বুধবার (১২ জুলাই) ইতিহাস বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র কাজী মহিউদ্দীন মিরাজ ও তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ইংরেজি বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রাফি ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিরাজের বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করেন। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় মিরাজ তার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বন্ধুদের নিয়ে রাফিকে দুই হলের মধ্যবর্তী জায়গা রবীন্দ্র চত্বরে ডাকেন। এ সময় রাফিও তার সঙ্গে থাকা হলের বন্ধুদের ডাকেন। রাফির বন্ধুরা এলে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাত আড়াইটার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।

আরও জানা যায়, এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলেও জানা যায়। পরে ভোর পৌনে ৫টার দিকে উভয় হলের দায়িত্বরত শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাদান তালুকদার জানান, যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা কোনো ছাত্রসুলভ আচরণ হতে পারে না। অন্য একটি জায়গার ঘটনা, এখানে টেনে আনায় এতো বড় ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় আমরা একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেব। এ ছাড়া ঘটনার অধিকতর তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমাদেরকাগজ/এমটি