সারাদেশ ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০১:০৩

ওয়াটার বাস ডুবি: জীবিত উদ্ধার ৭, মৃত ৩

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৬ ঘণ্টাব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সাতজনকে জীবিত ও তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, রাজধানীর সদরঘাট এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় একটি ওয়াটার বাস। এরপর,উদ্ধার কাজে সদরঘাটে আনা হয় বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। 

সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশন অফিসার আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা অনেক চেষ্টা করেছি বাসটা তোলার। এয়ারব্যাগ ব্যবহার করা হয়, তারপরও তোলা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম আনা হয়।

‘নারায়ণগঞ্জ থেকে রুস্তম আসার পর ওয়াটার বাস ডুবির পর প্রায় ৬ ঘণ্টা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকার পর রোববার রাত ২টা ৪০ মিনিটে উদ্ধার কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে শিথিল করা হয়। সোমবার সকাল ৭টা থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।’

সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক(এসআই) হাসান মারুফ জানান, উদ্ধার কার্যক্রম রাতে শিথিল করা হয়। ভোর থেকে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।তিনি আরও জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের সাহায্যে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিকে টেনে পোস্তগোলা ব্রিজের দিকে নেয়া হয়েছে। গতকাল রাতের পর এখন পর্যন্ত আর কোনো মরদেহ বা জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।

এসআই জানান, নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিচয় পাওয়া দুইজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার মো. বাবু মিয়ার ছেলে ১৪ বছর বয়সী মো. আলিফ, দোহারের জয়পাড়ার সবুজের ছেলে ২০ বছর বয়সী মো. ফাহিম।

এ ছাড়া ৫৫ বছর বয়সী একজনের মরদেহ মিডফোর্ট হাসপাতালের হিমাগারে রাখা আছে।

সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক জানান, এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সাতজনকে। এদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সামিরা, মুনছুর আলী, মোছা. মিমি, বিল্লাল। তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এ ছাড়া বাকি তিনজন রাতেই চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

এর আগে রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরাণীগঞ্জের তেলেরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বালগেটের ধাক্কায় যাত্রীসহ একটি ওয়াটার বাস ডুবে যায়। 

অনেকে সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছাতে পারলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে।

বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের স্থানীয় ডুবুরি ইউনিটসহ নৌপুলিশের সদস্যবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বিআইডব্লিউটিএর টাগ জাহাজ ‘অগ্রদূত’, ‘বালু’, ফায়ার সার্ভিসের ‘অগ্নি শীতলক্ষ্যা’ জাহাজও তাদের কার্যক্রম চালায়।

আমাদেরকাগজ/এমটি