সারাদেশ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৪:১৮

বরিশাল থেকে ২৯ টন ইলিশ গেল ভারতে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে দুই দফায় ২৯ টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। প্রথম চালানে ১৯ টন ও দ্বিতীয় চালানে ১০ টন পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল। এসময় (শুক্রবার) রাতে দ্বিতীয়বারের মত দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে দেশটিতে পাঠানো হয়। 

মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নীরব হোসেন টুটুল, বরিশাল থেকে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ভারতে ইলিশ পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে। টুটুলের মালিকানাধীন মাহিমা এন্টারপ্রাইজ। এছাড়া তানিশা এন্টারপ্রাইজ, মাসফি এন্টারপ্রাইজ, এআর এন্টারপ্রাইজ ও সি গোল্ড এন্টারপ্রাইজ।

অনুমতি পাওয়া রপ্তানিকারক প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ পাঠাতে পারবে। অনুমতি পেয়ে প্রথম চালান (বুধবার) রাতে পোর্ট রোড মোকাম থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ১৯ টন ইলিশ পাঠানো হয়। (শুক্রবার) রাতে দ্বিতীয় চালানে ১০ টন পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাজারের মূল্য বিবেচনায় ভারতে পাঠানো মাছ তুলনামূলক কম দামে পাঠানো হয়েছে। 

ভারতে রপ্তানি করা ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ শুক্রবার নগরীর পোর্ট রোড বাজারে ৫৮ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ১ হাজার ৪৫০ টাকা। 

আর ভারতে পাঠানো ইলিশের প্রতিকেজির দাম পড়ছে ১০ ডলার হিসেবে ১ হাজার ১০০ টাকা। স্থানীয় বাজারের তুলনায় ৩৫০ টাকা কম দামে মাছ গেছে ভারতে।

পোর্ট রোডের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, (শুক্রবার) পোর্ট রোড বাজারে এলসি সাইজের ইলিশ ৫৮ হাজার, কেজি সাইজের ইলিশ ৬৩ হাজার, এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৬৮ হাজার ও দেড় কেজি সাইজের ইলিশ ৭৬ হাজার টাকা প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে।

যদিও বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, আমরা আশা করছি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে জালে। কারণ ওই সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে ইলিশ বাড়বে। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ভারতে (বুধবার) ১৯ টন মাছ পাঠানো হয়। এটি ছিল মৌসুমের প্রথম চালান।

আমাদেরকাগজ/এমটি