নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জে স্বামীর ওপর অভিমান করে তিন সন্তানসহ যমুনা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূ বিষ করেছে। এ ঘটনায় তিন সন্তানের মৃত্যু হলেও হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধূ।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলায় ফেনারবাক ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শাহেদ (০৫) তামজীদ (১৩) এবং সাকিবা ( ১৪)। নিহতরা হলেন ফেনারবাঁক ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের সন্তান।
যমুনা বেগমের ছোট ভাই মমিন আহমদ জেলা সদর হাসপাতালে আজ দুপুরে অভিযোগ করেন, তাঁর বোনের স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জুয়া খেলতেন। এ নিয়ে ঝগড়ার জেরে তাঁর বোনকে মারধর করতেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁর বোন এমনটা করেছেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
ফেনারবাক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ফেনারবাক গ্রামের বাসিন্দা একলিমুর রাজা চৌধুরী বলেন, জাহাঙ্গীর আলম (৪০) পেশায় জেলে। হাওরে মাছ ধরেন এবং মাছের ব্যবসা করে সংসার চালান। পারিবারিক কলহ ছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। শনিবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীর আলম বাড়িতে আসার পর তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে আবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে একপর্যায়ে যমুনা বেগম তিন সন্তানকে নিয়ে ঘরের ভেতর কীটনাশক পান করেন। শিশুদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁদের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ার পর তাঁদের পাঠানো হয় সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, বিষপানে ৩ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাশ জানান, মা বেঁচে আছে এখনো। কিন্তু তিন সন্তান মারা গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আমাদেরকাগজ/এইচএম






















