সারাদেশ ৩১ মে, ২০২৪ ০৯:৪৯

বেফাঁস মন্তব্য করে তোপের মুখে এমপি ওমর ফারুক

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করায় রেগে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ওমর ফারুক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। 

এ সময় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলামের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘তোমার প্রবলেম হলো তুমি অলওয়েজ বায়াস্ট হয়ে পয়সা খেয়ে প্রশ্ন করো। দিস ইজ ভেরি ব্যাড।’ ঘটনার পরপরই এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, দুপুরে উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন দায়িত্ব বুঝে নেন। এর জন্য তাকে সংবর্ধনা জানাতে এসেছিলেন প্রায় সহস্রাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তাদের দেখে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আজকে উপজেলা চত্বরে অনেকগুলো লোক দেখছি, তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এখানে জড়ো হয়েছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে দুইবার ইউএনওকে ফোন করেছি কিন্তু তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি।

এ সময় উপজেলা চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলামও এমপির পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। তবে তিনি এ সময় কোনো মন্তব্য করেননি। পরে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভাও অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।

এমপির এমন বক্তব্যে এ সময় সাংবাদিকরা এমপিকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি সেখান থেকে দ্রুত চলে যান। পরে সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক এমপির এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়।

উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভা শেষে নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, এমপি সাহেবকে যদি হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে পুলিশের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এর সঙ্গে যদি আমি জড়িত থাকি তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। তবে আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো। তারা যা করার করবে।

গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল বলেন, এমপি যে ধরনের অভিযোগ করেছেন সেটার কোনো সত্যতা নাই। নেতাকর্মীরা আমাকে ভালোবেসে এখানে এসেছে। তারা কেউ এমন উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেনি। আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি জানাবো।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, এমপি সাহেব কী বলেছেন তা শুনিনি। তাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।