সারাদেশ ৪ আগস্ট, ২০১৯ ০৮:২৯

গরু কিনলেই মোটরসাইকেল ফ্রি

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

গবাদিপশু কেনাবেচার বাজার আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শিরনামে চলে আসতে শুরু করেছে বড় আকারের গরুগুলো চলে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে তারই খবর।

৫০ মণ ওজনের গরু বীরবাহাদুরের পর এবার আলোড়ন তুলেছে পালসার বাবু নামের একটি গরু। গরুটি এখন এর মালিকের বাড়ি যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় রাখা হয়েছে।

একে দেখতে আশপাশের গ্রামসহ স্থানীয়রা ভিড় করছেন। পালসার বাবুকে দেখতে শত শত মানুষের ঢল নেমেছে মণিরামপুরের ইত্যা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া মোল্লারবাড়ি। অনেকে গরুটির সঙ্গে সেলফি তুলছেন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করছেন।

গরুটির এমন নামের পেছনে যে কারণ জানা গেছে, এ গরুটি কিনলে একটি পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইয়াহিয়া মোল্লা। তিনি এ গরুর দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে কয়েকজন গরুটি কিনতেও এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা ইয়াহিয়া মোল্লা।

গরু ব্যবসায়ী ইয়াহিয়া মোল্লা বলেন, তিন বছর ধরে একটি বাচ্চা ষাঁড়কে সন্তানের মতো লালন-পালন করে বড় করেছি। তখন থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছিলাম বিক্রির সময় এ গরুর সঙ্গে পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেব ক্রেতাকে। তাই ষাঁড়টির নাম দিয়েছি ‘পালসার বাবু’। এখন এ নামেই সবাই গরুটিকে চেনে।

কিন্তু এই গরুটির দাম উঠেছিল সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এ দামে গরুটি বিক্রি করেননি ইয়াহইয়া।

তিনি বলেন, আমি ক্ষুদ্র গরুর ব্যবসায়ী। ১৯৯৬ সাল থেকে একটা করে সংকর জাতের গরু পুষে আসছি। তিন বছর আগে ৪৫ হাজার টাকায় হলেস্টিয়ান’ জাতের এই ষাঁড়টি কিনি। শখ করে এর নাম দিয়েছি ‘পালসার বাবু’। গত বছর গরুটি কিনতে ঢাকা থেকে অনেকেই এসেছিলেন। বিক্রি করিনি আমি।

তিনি যোগ করেন, এই এক বছরে গরুটি বেশ বড় হয়েছে। প্রায় ২০ মণ মাংস আছে এর গায়ে। এখন পর্যন্ত এর দাম আট লাখ টাকা বলেছে কেউ কেউ। তবে ১২ লাখ টাকার নিচে বিক্রি করব না বলে ভাবছি। এ দামে কেউ কিনে নিলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে পালসার মোটরসাইকেল উপহার দেব।