জেলা প্রতিনিধি
বরগুনায় উড়ে আসা আহত একটি মদনটাক জবাই করে এলাকাবাসীর মাংস ভাগাভাগি করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ওই পাখিটিকে জবাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ঘটনায় বন বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর খবর পেয়েই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
গতকাল বরগুনা সদর উপজেলার ১ নম্বর বদরখালী ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া হাই স্কুল সড়ক সংলগ্ন কানার বাড়ি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরের দিকে আহত অবস্থায় হঠাৎ একটি মদনটাক উড়ে এসে তেতুলবাড়িয়া নদীর পাড়ে এসে পড়ে। এসময় নদীর পাড় সংলগ্ন একটি মাঠে খেলতে থাকা কয়েকজন যুবক ওই পাখিটিকে দেখতে পায়। পড়ে তারা পাখিটিকে ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় বাসিন্দা আব্বাস মিয়া ও মনির খলিফাকে জানান। পরে এলাকার উল্লসিত আরও কয়েকজন জড়ো হয়ে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে পাখিটিকে জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করে নেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে বন বিভাগের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্তরাসহ ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আরিফ রহমান নামে বরগুনার এক পরিবেশ কর্মী বলেন, দুপরে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে আহত একটি মদনটাক আসার খবর শুনতে পাই। পাখিটিকে উদ্ধার করতে তাৎক্ষণিকভাবে বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করি। এছাড়াও যাতে পাখিটিকে কেউ আঘাত এবং মেরে না ফেলার হাত থেকে রক্ষা করতে ওই এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি পাখিটির।
তিনি বলেন, বিরল প্রজাতির ওই পাখিটি উড়ে এসে যেখানে পড়েছে তার কাছেই বিষখালী নদীর মাঝের চর নামক একটি এলাকা রয়েছে। এ চরের মধ্যে ছোট-ছোট পাতার বন থাকায় পাখিটি নিরাপদ আশ্রয় নিতে এসে তেতুলবাড়িয়া এলাকায় নদীর পাড়ে পড়েছে৷ পেশাদার কোনো পাখি শিকারির গুলিতে পাখিটি আহত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
বরগুনা সদর উপজেলা বন বিভাগের বিট অফিসার জালাল আহমেদ খান বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত রওনা করলেও যাতায়াতের জন্য সড়ক পথটি খারাপ হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই আহত পাখিটিকে জবাই করে মাংস ভাগ করে নিয়েছে স্থানীয়রা। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছি।