ডেস্ক রিপোর্ট।।
সমাজের নানা স্তরের অবৈধ সম্পদ উপার্জনকারীদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে এই তালিকায় উঠে এসেছে ১১৮ জনের নাম। যাদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদ্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী, ছাত্র-যুবনেতাসহ নানা পেশার লোকজন। তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে কাজ করছে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম।
দুদকের ১১৮ জনের তালিকায় যারা : গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঠিকাদার জি কে শামীম, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দিন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহামুদ জোনায়েদ, মো. জহুর আলম, এস এম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার, শরফুল আওয়াল, নাদিম (ওমানে অবস্থানরত শীর্ষ সন্ত্রাসী), জিসান (জার্মানিতে অবস্থানরত শীর্ষ সন্ত্রাসী), জাকির (মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনি, ঢাকা), সেন্টু (নয়াটোলা, ঢাকা), নাসির (বাড্ডা, ঢাকা), ব্যবসায়ী আবদুল আওয়াল (বনানী গোল্ড ক্লাবের মালিক), ব্যবসায়ী আবুল কাশেম (বনানী গোল্ড ক্লাবের মালিক), গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন মিয়া, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাশেদুল হক ভূইয়া, ঢাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাতেনুল হক ভূঁইয়া, হারুনুর রশীদ, ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম, শিক্ষা অধিদপ্তরের ঠিকাদার মো. শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হাই, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব সামশুল হক চৌধুরী, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক সাঈদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমান, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন মনা, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন স্বপন, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম রবিউল ইসলাম সোহেল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান, নোয়াখালীর মেসার্স জামাল অ্যান্ড কোং-এর মালিক-ঠিকাদার জামাল হোসেন, পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের মালিক-ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার, সাতক্ষীরার সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সের মালিক-ঠিকাদার রেজোয়ান মোস্তাফিজ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার সিনিয়র সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান, অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান রাজীব, যুবলীগ নেতা গাজী সরোয়ার বাবু, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক মধু, নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত উল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকনউদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের, নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল মোমিন চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, বান্দরবানের সিলভান ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মন্টু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল করিম চৌধুরী স্বপন, পরিচালক জামিল উদ্দিন শুভ, পরিচালক এস এইচ এম মহসিন, পরিচালক উম্মে হাবিবা নাসিমা আক্তার, পরিচালক জিয়া উদ্দিন আবীর, পরিচালক যাওয়াদ উদ্দিন আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাজ্জাদ, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী জিয়া, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, ঠিকাদার তবিবুল হক তামিম, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, শাহেদুল হক ও তার স্ত্রী সাবিনা তামান্না হক, যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, তার স্ত্রী শেখ সুলতানা রেখা, ছেলে আবিদ চৌধুরী, মুক্তাদির চৌধুরী ও ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের স্ত্রী পারভীন সুলতানা, মেয়ে নুজহাত নাদিয়া নীলা, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, তার স্ত্রী সানজিদা রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কে এস মাসুদুর রহমান, তার বাবা আবুল খায়ের খান, মা রাজিয়া খান, স্ত্রী লুৎফুন নাহার লুনা, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সহসভাপতি মুরসালিক আহমেদ, তার মা আছিয়া বেগম, বাবা আবদুল লতিফ, স্ত্রী কাওছারী আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঈনুল হক মঞ্জু, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা কামরান প্রিন্স মোহাব্বত, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা আতিয়ার রহমান দীপু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান হোসেন খান, সদস্য হেলাল আকবর চৌধুরী, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কায়সার আহমেদ, যুবলীগ ঢাকা উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বাপ্পী, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, তার স্ত্রী সায়মা আফরোজ, কমলাপুর আইসিডির কমিশনার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, সহকারী কমিশনার কানিজ ফারহানা শিমু, সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিনুল হক, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক খোরশেদ আলম এবং গণপূর্ত সার্কেল-৪, ঢাকার উপ সহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর হোসেন।
অনুসন্ধানের বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
তবে সূত্রে জানা গেছে, তালিকায় থাকা এই ১১৮ জনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে চলছে এই অনুসন্ধান। যাদের নাম তালিকায় এসেছে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে বিএফআইইউ’র সহযোগিতাও চেয়েছে দুদক। এ ব্যাপারে সংস্থাটির কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।




















