আশিকুর রহমান
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে হাতিরঝিল ভরাট করে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। ফলে নির্ধারিত সময়ে এই ভবন ভাঙ্গা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ২০শে জানুয়ারি সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম উপস্থিত থেকে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছিল। গত আট মাসে ১৫ তলা ভবনের ভাঙ্গা হয়েছে মাত্র ছয় তলা। এখন পর্যন্ত নয় তালা অবশিষ্ট আছে। বিজিএমই ভবনটি ভাঙ্গা কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ।
আজ বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ওই ভবন ভাঙ্গার কাজ করছে সনাতন পদ্ধতিতে। হেমার ও হাতুড়ি দিয়েই চলছে এই বহুতল ভবন ভাঙ্গার কাজটি।
রাজউক সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই সরকারের কাছ থেকে জমি পেয়ে পরবর্তীতে নিজেদের সদর দপ্তর ভবন নির্মাণ করেছিলো তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। কিন্তু জলাধার আইন লঙ্ঘন করে ভবনটি তোলায় ২০১১ সালে হাইকোর্ট ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার রায় দিয়েছিলো পরে যা আপিল বিভাগেও বহাল থাকে। পরে নানা আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা বিলম্বের পর রাজউক আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ভবনটি ভাঙ্গার উদ্যোগ নেয়। তখন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো যে ডিনামাইট ব্যবহার করে উন্নত বিশ্বের আদলে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভবনটি অপসারণের কাজ করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন মাসের মধ্য ভবন ভাঙ্গার শর্ত দিয়ে দরপত্র আহবান করে সেখান থেকে ভবনটি ভাঙ্গার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করেছে রাজউক। ভবনটি প্রথমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাঙ্গার পরিকল্পনা করলেও পরবর্তীতে ভবনটির আশেপাশে ফাইভ স্টার হোটেলসহ অন্যান্য বড় ইমারত থাকায় সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা।
ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজের পরিচালক নসরুল্লাহ খান রাশেদ আমাদের কাগজকে জানান, আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে দিন রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু সনাতন পদ্ধতিতে ভাঙ্গা হচ্ছে তাই একটু বেশি সময় লাগছে। তবে ঠিক কতোদিন লাগবে, তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভবন ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত এক কর্মচারী বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ভবন ভাঙ্গার কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। কিন্তু যে গতিতে কাজ চলছে, আরও ছয় থেকে সাত মাস লেগে যাবে।






















