আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বড়দিনে তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। মারা গেছেন অন্তত ৫০। কানাডায় মৃত চার। প্রায় ১০ ফুট বরফের তলায় রাস্তাঘাট। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিম নিউইয়র্কের বাফেলোয়।
নিউইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, বাফেলোকে দেখে মনে হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি পরিত্যক্ত গাড়ি। আট থেকে ১০ ফুট বরফের তলায় সবকিছু চাপা পড়েছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে প্রাণঘাতী অবস্থা। পরিস্থিতি এমনই যে, বিপর্যয় মোকাবিলা কর্মীরা ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন না।
বাফেলোতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, অনেকে গাড়ির ভেতর ছিলেন, সেই অবস্থায় ঝড়ের কবলে পড়েন। তারা গাড়ির ভিতরেই জমে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে গাড়ি চালানোয় নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু অনেকে দীর্ঘ যানজটে পড়ে ছিলেন।
শনিবার সকালে বাফেলোর বাসিন্দা ইলিঙ্গা গাড়ি থেকে নেমে তার ছয় বছরের ছেলেকে পিঠে বেঁধে নেন। তার ১৬ বছরের অন্য ছেলে কুকুরকে কোলে নিয়ে চলতে থাকেন। তারা কাছে এক আশ্রয়স্থলে গিয়ে পৌঁছান ও বেঁচে যান।
গভর্নর জানিয়েছেন, বাফেলোর মানুষ জীবন বাঁচিয়ে রাখার যুদ্ধ করছেন।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, একটা সময় ১৭ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন ছিলেন। পরে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ চালু হয়। তারপরেও দুই লাখ মানুষ বিদ্যুৎ পাননি।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, কয়েক হাজার বিমান বাতিল করা হয়। ফলে হাজার হাজার মানুষ ক্রিসমাসের দিন তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
এই তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে, “বম্ব সাইক্লোন”। যেখানে এই তুষারঝড় হচ্ছে, সেখানে প্রবল বরফপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর জানিয়েছেন, এই তুষারঝড় বাফালোর ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম ঝড় হিসাবে থেকে যাবে।
আমাদের কাগজ/টিআর



















