আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ইরাকে প্রায় মাসখানেক ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এখনো অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিক্ষোভকারীরা বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। দেশটির আধাসরকারি মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, এদিনের বিক্ষোভে নিহত হয়েছে ৪২ বিক্ষোভকারী। আহতের সংখ্যা দুই হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে গত এক মাসের বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো কমপক্ষে ১৮৫। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আওয়াজ নিয়ে রাজপথে নামেন আন্দোলনকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও গুলিবর্ষণের ফলে ১৪৯ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। একই রকম মত দিয়েছে জাতিসংঘ। এরমধ্যেই শুক্রবার নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো। এদিনের বিক্ষোভে আহত হয়েছে দুই হাজার ৪৭ জন। এরমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।
শুক্রবারের ঘটনায় ইরাকের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
অব্যাহত গণবিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর। এক বিবৃতিতে সরকারকে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান তিনি। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্ট অধিবেশন বয়কটের আহ্বান জানান এ শিয়া নেতা।



















