আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ইরানে সাম্প্রতিক দাঙ্গা সৃষ্টির প্রচেষ্টায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস), পেজাক ও মোনাফেকিন গোষ্ঠীর জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনী। ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরাক সীমান্তবর্তী কেরমানশাহ প্রদেশে এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশে দাঙ্গা সৃষ্টিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রদেশের গভর্নর হুশাং বজবান্দ।
ইরানে গত ১৫ নভেম্বর জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির পর এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের দলে ভিড়ে গিয়ে যেসব শহরে দুর্বৃত্তরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় সেসবের মধ্যে কেরমানশাহ প্রদেশের রাজধানী কেরমানশাহ শহর অন্যতম।
প্রাদেশিক গভর্নর বজবান্দ জানিয়েছেন, দুস্কৃতকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে নির্বিচারে টার্গেট করেছে এবং নগরীর প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এসব দুর্বৃত্তকে দায়েশ, পেজাক ও মোনাফেকিন গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইরানে কখনোই দায়েশের কোনো ঘাঁটি ছিল না কিন্তু ইরানের পশ্চিমে ইরাক সীমান্তবর্তী কিছু শহর ও গ্রামের যুবকদেরকে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।এ ছাড়া, পেজাক হচ্ছে ইরাকের কুর্দিস্তানে তৎপর একটি কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী যারা মাঝেমধ্যে ইরানে অনুপ্রবেশ করে নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়ে আবার ইরাকে পালিয়ে যায়।আর মোনাফেকিন গোষ্ঠী ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাতের লক্ষ্যে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এই গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭,০০০ ইরানি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র: পার্সটুডে






















