বিনোদন ১০ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৪১

'ম্যাডাম ফুলি'র জন্য উপযুক্ত পাত্র চাই

বিনোদন ডেস্ক

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সিমলা। যাকে ‘ম্যাডাম ফুলি’ হিসেবেই মানুষ চেনে। এবার তিনি বিয়ে করে সংসারী হতে চান বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

সিমলা জানালেন, পাত্র খোঁজা হচ্ছে। মনের মতো পাত্র পেলেই বিয়ের কাজটি সেরে নিতে চাই।

১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকনের পরিচালনায় ‘ম্যাডাম ফুলি’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের শুরু। এ ছবির মাধ্যমে তিনি সর্ব মহলে জনপ্রিয় অর্জন করেন।

a

সে সিনেমা দিয়ে সে বছরই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নেন। প্রথম সিনেমায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করলেও। তার পরে তার পর্দায় আর তাকে খুব দেখা যায় নি। তার সিনেমার সংখ্যা অনেক কম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'আমার সময়ে পরিচালকেরা অন্য শিল্পীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁরা আমাকে নিয়ে ভাবার সময় হয়তো পাননি। তাই যত বেশি কাজ করা উচিত ছিল, তা করা হয়নি। এসবে মোটেও বিচলিত নই।’

এখনও সে সঙ্গিহীন জীবন কাটাচ্ছেন,এমন প্রশ্নে সে গনমাধ্যমকে জানান, ‘বিয়ে না করেই তো ভালো আছি। আসলে তা নয়, বিয়ে তো করতেই চাই। কিন্তু আমার মন বোঝে, এমন পাত্র তো পেতে হবে। দেখি, পরিবার থেকে পাত্র খোঁজা চলছে। কী হয় দেখার অপেক্ষায় আছি। মনের মতো হলে বিয়েটা সেরে ফেলব।’

‘ম্যাডাম ফুলি জানান, মৌসুমী ও সালমান শাহর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখার পর চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ার ঝোঁক প্রবল হয়। সেই সময়ের কথা মনে করে সিমলা বললেন, ‘আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সংলাপ নকল করতাম। মাকে বললাম, আমি নায়িকা হব। মা ভাবলেন, আমি পাগলটাগল হয়ে গেলাম মনে হয়। পড়াশোনা গেল গোল্লায়। কোনোমতে এসএসসি পাস করে ইন্টারে ভর্তি হই। সিনেমার নেশায় এরপর আর পড়াশোনা হয়নি।’

s

সিমলার চেয়ে ‘ম্যাডাম ফুলি’ নামে সিমলাকে মানুষ বেশি চেনে। একটি চরিত্র হয়ে দর্শক হৃদয়ে বেঁচে থাকতে পারাটা একজন শিল্পীর অনেক বড় পাওয়া বলে মনে করেন তিনি। শুরুর দিকে মুম্বাইয়ে মাসহ থাকলেও পরের দিকে একাকী থাকতেন। আমি সেখানে সাদামাটাভাবেই থেকেছি। কষ্ট করেছি। যদি সফলতা পেতাম, তাহলে তখন ভিন্নভাবে চিন্তাভাবনা করতাম। তাই নিজের মতো করে থেকেছি।’

অভিনয়জীবনের শুরুতে সিমলা একসঙ্গে তিনটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন। ‘ম্যাডাম ফুলি’ ছাড়া বাকি দুটো ছবি হচ্ছে ‘পাগলা ঘণ্টা’, ‘ভেজা বিড়াল’। কয়েক বছর ধরে ৩৫টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।