বিনোদন ডেস্ক
টিজার প্রকাশের পর থেকেই বাংলাদেশি চলচ্চিত্র 'কমান্ডো' নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শামীম আহমেদ রনি পরিচালিত এই ছবিতে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ তুলেছেন মাওলানা আব্দুল্লাহ হাই সাইফুল্লাহ। এ বিষয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আমাদের কাগজ পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
‘’বাংলাদেশি পরিচালক এর ‘কমান্ডো’ সিনেমার টিজার মুক্তি পেয়েছে ।
সিনেমা দেখিনা, খবরও রাখিনা, কিন্তু অনলাইন দুনিয়ায় যেহেতু আছি, সিনেমার টিজারের স্ক্রিনশট দেখে কপাল কুঁচকে গেলো। দুনিয়া ব্যাপী ইসলাম নিয়ে যে বহু পর্যায়ের ষড়যন্ত্র চলছে এই সিনেমা তারই অংশ বলে মনে হচ্ছে। ইসলাম আর মুসলমানদের নানান কৌশলে এতদিন দাড়ি, টুপি, জুব্বা, রুমাল, সুরমা কে রাজাকার, বদমায়েশ, চরিত্রহীনদের পোশাক বানিয়ে অপমান করেছে ভারত ও এদেশের মুভি মেকাররা।এবার যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে!! নতুন সংযুক্তি, চরিত্র নয় সাবজেক্টই হবে সেটি! কৌশলে বিষয়টিই বাংলা সিনেমার সাবজেক্ট হচ্ছে! মুভি বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়া বলে কথা!
১ম ছবিটি দেখুন। কালেমা খচিত পতাকা, পতাকার নীচের অংশে AK-47 এর সিম্বল । পতাকার পেছন থেকে অস্ত্র হাতে বেরিয়ে আসছে কথিত সন্ত্রাসীরা ।
২য় ছবিটিতে দেখুন। চার দিকে আরবি লিখা। টিজারের এই অংশে দেখানো হচ্ছে কথিত সন্ত্রাসীরা সুন্নাতি পোষাক পড়ে "নারায়ে তাকবির" "আল্লাহু আকবর" স্লোগান দিচ্ছে।
কালেমাধারীদের পরাজিত করার জন্য "নায়ক দেব" যুদ্ধ করে যাবে এই সিনেমাতে । এই মুভিতে দেখাবে ইসলামি জঙ্গিবাদ দমনে নায়ক দেব এসে হাজির হয়েছে। আর জঙ্গিদের সিম্বল হিসাবে কালিমা খচিত পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে সুস্পষ্টভাবে ইসলামকে ডিমোনাইজ করা হচ্ছে। ভিলেন বানিয়েছে ইসলামকে । যা ইচ্ছাকৃত ইসলাম বিদ্বেষ । ইসলাম কখনো জঙ্গী ধর্মনয়, একই সাথে ধর্মের নামে কেবল ইসলামেই উগ্রতা আর জঙ্গীবাদ আছে এমন নয়, সব ধর্মেই আছে, তাহলে মুভিতে কেনো ইসলাম আর কালেমার পতাকারই শুধু ব্যাবহার?
পরিচালক এই স্পর্ধা কোথায় পেলো! নাটক সিনেমায় আগে থেকেই খারাপ চরিত্র, ধর্ষক, বদমাশ দেখাতে দাড়ি টুপি চোখে সুরমা লাগায়। আমাদের নিরবতায় এখন ভিলেন চরিত্রে সরাসরি কালিমা ব্যবহার করার সাহস দেখাচ্ছে।
মনে রাখবেন ইসলামের সাথে জঙ্গীবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃত মুসলিম জঙ্গীতো দূরের কথা ত্রাশের পক্ষেও থাকতে পারেনা। কিন্তু কালেমার পতাকাকে জঙ্গীর ট্যাগ লাগিয়ে কারো হাতে ঈমানদাররা তুলেও দিতে পারেনা। রিসেন্ট ঘটে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে ক্রুশবিদ্ধকরণ মুভি বানিয়ে, খৃষ্টান সম্প্রদায়কে দায়ীকরে, দেব ও শোয়ার্জনেগার কে নায়ক বানান। আরেকটা বানান লাখ লাখ মুসলিমকে রাখাইন ও পার্শ্ববর্তী দেশের উগ্রবাদীদের দারা হত্যা যুদ্ধাপরাধ ও বাড়িঘর জালিয়ে দেয়া নিয়ে। সেগুলি এত নিকটে ঘটলেও চোখে পড়লনা কেনো? ভন্ডামী সব ইসলাম আর সুন্নাতি পোষাক নিয়ে তাইনা!
ইচ্ছাকৃত এসব শয়তানী কারবার দ্রুত বন্ধ করুন। নচেৎ এ নিয়ে শান্তির পরিবেশ নষ্ট হলে সিনেমা কর্তৃপক্ষ দায়- দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না।‘’






















