বিনোদন ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০৮:২৭

নারী সাংবাদিকের কোলে বসে পড়েন বাম নেতা, সরব হলেন শ্রীলেখা

বিনোদন ডেস্ক
বর্ষীয়ান বাম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য আচমকাই সংবাদ শিরোনামে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের এক নারী সাংবাদিক। রোববার ফেসবুক লাইভে ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। 

তন্ময় বাবুর ইন্টারভিউ নিতে গিয়েছিলেন, সেখানেই বাম নেতা তার ‘কোলে বসে পড়েন’ এমনটাই দাবি করেন। এই ঘটনায় হতভম্ব ওই সাংবাদিক স্পষ্ট বলেন, ‘এরাই আসলে সম্ভাব্য ধর্ষক, যাদের চিনে রাখা দরকার’। 

দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই ফেসবুক লাইভ। আরজি কর আবহে যখন নারী নিরাপত্তা ও নারী সুরক্ষা নিয়ে এত আন্দোলন, এত মিছিল, সেখানে সিপিএম-এর বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ স্বভাবতই দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। 

সিপিএমকে কড়া প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবিলম্বে তন্ময় ভট্টাচর্যকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতে পারে এই আশঙ্কাতেই কার্যত তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।

আপাতত তন্ময় ভট্টচার্যকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেটা কার্যকর করতে একটু সময় লাগতে পারে। রোববার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। 

বহিস্কারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বাম সমর্থক টলি তারকারাও। পান থেকে চুন খসলেই তৃণমূল-বিজেপিকে আয়না দেখাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন শ্রীলেখা মিত্র। ঘোষিত এই বাম সমর্থক কারো নাম উচ্চারণ না করেই ফেসবুকে লেখেন, ‘অভিযুক্ত না কি দোষী...দল সাসপেন্ড কিন্ত করল’। 

শ্রীলেখা আরও একটি পোস্ট শেয়ার করেন ফেসবুক ওয়ালে। যেখানে লেখা রয়েছে- ‘অভিযোগ হলেই সে অভিযুক্ত নয়’ এটা যারা বিশ্বাস করেন, এবার তারা কী বলবেন দেখা যাক! নিজের বেলায় আঁটিসাঁটি পরের বেলায় দাঁতকপাটি- এটা হয় না। আমরা কিন্তু বরাবরই বিশ্বাস করি অভিযোগ যার নামে, সে অবশ্যই অভিযুক্ত।'

মূলত দিন কয়েক আগে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অভিযোগ থাকলেই প্রমাণ ছাড়া তাকে অভিযুক্ত বলা যায় না। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই পোস্ট। অভিযোগ থাকলেই তিনি অভিযুক্ত, এই ধারণাতেই বিশ্বাসী শ্রীলেখা।

একই সুরে সুর মেলান পরিচালক সৌরভ পালোধি। ‘অঙ্ক কী কঠিন’ পরিচালক লেখেন, ‘অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করলো তার দল। তাকে সেফগার্ড করেনি। ভুলটা ব্যক্তির, সঠিক সিদ্ধান্তটা পার্টির’।

এদিকে এই ঘটনায় তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌আমি সবার সঙ্গে ইয়ার্কি করে থাকি। আগে ওই মেয়েটি অন্তত দশবার আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ওর সঙ্গে আমি আগেও ইয়ার্কি করেছি। কিন্তু আজকে হঠাৎ কী হল জানি না। একটা বাচ্চা মেয়ে। ওকে আমি মা বলে ডাকি। সে এ কথা বলবে ভাবতে পারছি না।’‌