নিজস্ব প্রতিবেদক: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে গত মৌসুমে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন পর্তুগীজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে এরিক টেন হাগের ফুটবল দর্শনের সঙ্গে না মেলায় চলতি মৌসুমের বেশিরভাগ সময় রোনালদোকে কাটাতে হয়েছে বেঞ্চে। তাই ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান দেয়া সাক্ষাৎকারে সে ক্ষোভ একেবারে উগড়ে দিলেন তিনি।
এক প্রকার সরাসরি আঙুল তুললেন বর্তমান ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দিকে। তার দাবি, রেড ডেভিলরা তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
ক্লাবের দায়িত্বে থাকা অন্যদের থেকেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রোনালদোর। চলতি মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ই বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে এই পর্তুগিজ তারকাকে। গত মাসে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে না নামানোয় রাগ দেখিয়ে রোনালদো মাঠ ছেড়ে চলে যান। তার এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে পরের ম্যাচে তাকে বরখাস্ত করে ক্লাব।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সুখে নেই, সেটি বিভিন্ন ঘটনায় তা আগেই স্পষ্ট ছিল। তবে ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ, সাবেক সতীর্থ ওয়েইন রুনি আর ক্লাবের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে কী পরিমাণ ক্ষোভ জমা রেখেছিলেন ভেতরে-ভেতরে, তার বেশ কিছুটা উগরে দিলেন এবার।
বিশ্বকাপের আগে এবার রোনালদো তার সাক্ষাৎকারে বলেন, টেন হ্যাগের প্রতি আমার কোন সম্মান নেই। কারণ, সে আমার প্রতি সম্মান দেখায় না। শুধু ম্যানেজারই নন, ক্লাবের সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এখানে আমি প্রতারিত বোধ করছি।
রেড ডেভিলদের শিবিরে এরিক টেন হ্যাগ আসার আগে ছিলেন রালফ রাংনিক। তার নাম রোনালদো আগে কখনও শোনেননি; এমন মন্তব্যও করেন সিআরসেভেন। তিনি আরও বলেন, আমার মন যা সায় দেয়, সেটাই করেছিলাম। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন বলেছিলেন, আমার কোনোভাবেই ম্যানসিটিতে যাওয়া চলবে না। আমিও শুনে বলেছিলাম, ওকে বস।
রোনালদো আরও বলেন, স্যার অ্যালেক্স চলে যাওয়ার পর থেকে এখানে উন্নতি একদম শূন্য। কিছুই পাল্টায়নি ক্লাবে। ফার্গিও জানেন, ক্লাব তার ঠিক পথে নেই। তিনি যেমন জানেন, বাকি সকলেই তেমনটা জানেন। আর যেসব মানুষ এসব দেখতে পায় না, তারা অন্ধ হয়ে আছে। তারা স্রেফ দেখতে চায় না।
আমাদের কাগজ/ইআ






















