ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে নেমেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত আগস্টেই প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এরপর সম্প্রতি চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছে বিসিবি।
স্বাধীন তদন্ত কমিটির চূড়ান্ট তদন্ত প্রতিবেদনটি ৯০০ পৃষ্ঠার। এই প্রতিবেদনে দুর্নীতি নিয়ে পর্যালোচনা উপস্থাপনের পাশাপাশি পরিচালনাগত দিক নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি। আর এসব জায়গা সংস্কারের জন্য পরিকল্পিত রোডম্যাপও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে, পরবর্তী বিপিএলের ড্রাফটের আগে ফিক্সিংয়ে জড়িতেদের শাস্তির কথা জানিয়েছেন বিসিবির সহ-সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, 'আমরা ৯০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অ্যালেক্স মার্শালকে দিয়েছি। সে সবকিছু দেখে অপরাধ অনুযায়ী চার্জ ফ্রেম করবে। তারপর সে আমাদের একটা সাজেশন দেবে। সে যে চার্জ ফ্রেম করবে সেটার ওপর ভিত্তি করেই আমরা তাদের খেলতে দেবো না। আমরা চাচ্ছি ড্রাফটের আগেই এটা পেতে। সুতরাং একটা টাইমলাইন আছে।'
ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের তালিকায় ক্রিকেটাররা ছাড়াও সাংবাদিক ও ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ জড়িত ছিল বলেও জানালেন শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, 'ড্রাফটের আগে যদি নাম (ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের) পাই তাহলে ড্রাফটে তাদের নাম থাকবে না। একটা কথা মনে রাখবেন শুধু খেলোয়াড় না কিন্তু সাংবাদিকও আছে, ম্যানেজমেন্টও আছে। শুধু খেলোয়াড় না কিন্তু।'
অন্যদিকে, আসন্ন ১২তম বিপিএলের জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আইএমজিকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। যে কারণে তারাই এখন বিপিএল আয়োজনের সবকিছু দেখভাল করছে। দল পাওয়ার জন্য আবেদন করা সব প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেছিল বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিপিএলে নিলাম পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, 'আজকে এটা (বিপিএলে নিলাম) নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এখন পরবর্তী বিপিএলের সভায় এটা নিয়ে আরও কথা বলব। আমাদের তো সময় আছে। ১৫ তারিখের পরে কিন্তু আমাদের প্লেয়ার্স ড্রাফট। এটা আজকে আমরা শুনেছি, লিখে নিয়েছি। এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করে যেটা ভালো হয় লিগের জন্য সেটা করা হবে।'





















