অপরাধ ও দুর্নীতি ২৪ আগস্ট, ২০১৯ ০৩:৪৪

অপহরণ ও ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় স্কুলছাত্রীর মামা নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট ।। 

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার সময় আকবর আলী (৩৬) নামে এক ব্যক্তি গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও গ্রামবাসী বলছে, অপহরণের সময় বাধা দেওয়ায় আকবর স্কুলছাত্রী ও তার মামা হাসানুজ্জামানকে (২৫) ছুরিকাঘাত করে। পরে হাসানুজ্জামান মারা যান। আকবরের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্রীর নানা হামিদুল ইসলাম (৫৫)।

নিহত হাসানুজ্জামান আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

আরো পড়ুন: গর্ভপাতের ভ্রূণ নিয়ে থানায় কলেজছাত্রীর মামলা

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে শনিবার ভোরে আকবর আলী নামে এক ব্যক্তি ঢোকে। এরপর স্কুল পড়ুয়া ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু কিশোরীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গৃহকর্তার ছেলে হাসানুজ্জামান। গুরুতর আহত হয় ওই স্কুলছাত্রীসহ তার পঙ্গু নানা হামিদুল ইসলাম।

এদিকে গ্রামবাসী টের পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে হামলাকারী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, মো. কলিমুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা গুরুতর আহত গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম ও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সকাল ৮টার দিকে নিহত হাসান ও গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।