ডেস্ক রিপোর্ট।।
বাফুফের সহ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন। তিনি জানান তিন বছরের অডিট রিপোর্ট থেকে এই অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন। নির্বাহী কমিটির সভায় অভিযোগ গৃহীত না হওয়ায় সভাপতি বরাবর নয়টি লিখিত অভিযোগ করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিনিয়র সহসভাপতি ও ফাইন্যান্স কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদী।
সবশেষ প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ফুটবল ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভা বসেছিল। এছাড়া বিগত তিন বছরের অডিট রিপোর্টগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে নির্বাহি কমিটির সভায়। আর ২০১৬-২০১৮ মেয়াদের রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়ম পর্যবেক্ষণ করে সভাপতি বরাবর লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন খোদ সংস্থার সহসভাপতি মহিউদ্দিন মহি।
এসময় তিনি সভাপতি বরাবর নির্দিষ্ট ৯টি বিষয়ে অভিযোগ করেছন।
নির্দিষ্ট ৯টি বিষয়ে অভিযোগ করেছেন তিনি। বার্ষিক আর্থিক বিবরনীতে ১৭ কোটি টাকার গড়মিলের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ৮ কোটি ৬১ লাখ, পরের বছর ৫ কোটি ৬৫ লাখ আর ২০১৮ সালে রয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অমিল। বিপুল এই অর্থ ২০০৯ থেকে ১৫ সালে ব্যয় হয়েছে। এত বড় অংক পরের বছরগুলোতে দেখানো অবৈধ বলছেন মহিউদ্দিন মহি।
একইভাবে একই খরচ দুইখাতে দেখানোর অভিযোগ যেমন আছে। আছে বারবার অনুমতি ছাড়া অডিট ফার্ম পরিবর্তনের। ব্যয়ের ভাউচার দেয়া হয়েছে সাদা কাগজে।
২০১৭ সালে আর্থিক প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ, জাতীয় স্কুল ফুটবলসহ ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা সমন্বয় করা হয়, কিন্তু অগ্রিম সমন্বয়ের বিপরীতে কেন অর্থ ব্যয় বেশি দেখানো হয়েছে তার ব্যাখ্যাও জানতে চেয়েছেন ফেডারেশন সহ সভাপতি।
অনিয়মের জবাব দিতে না পারলে প্রয়োজনে ফিফা, এএফসিসহ প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হওয়ার হুমকিও দিয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।
তবে এসব অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন ফেডারেশন সিনিয়র সহ সভাপতি ও আর্থিক কমিটির প্রধান সালাম মুর্শেদী। অভিযোগের প্রক্রিয়া নিয়ে পাল্টাপাল্টি জবাব দুজনের।
শের ই বাংলা কাপ ও সোহরাওয়ার্দী কাপ করতে ফেডারেশনের অসহযোগিতায় কম্পিটেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ। কিন্তু নির্বাহী কমিটির পদ ছাড়েননি এই সহ সভাপতি।






















