ডেস্ক রিপোর্ট ।।
জি কে শামীমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইতোমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারিতে পড়েছেন ৫ সচিব। জানা গেছে যে, জি কে শামীম বিভিন্ন টেন্ডারের কাজ পাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতেন তাদেরকে। তাদের সঙ্গে জি কে শামীমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং তাদের সহায়তায়ই টেন্ডার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন জি কে শামীম।
একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে, জি কে শামীমের অফিস থেকে যে সিসি টিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে সেখানে এই ৫ জন সচিব যে প্রতিনিয়ত জি কে শামীমের কাছে যেতেন তার পরিস্কার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিকে শামীম জিজ্ঞাসাবাদেও স্বীকার করেছেন যে, তাদেরকে তিনি মাসে মাসে বিপুল পরিমাণে টাকা দিতেন তিনি। এই ৫ জন সচিবের মধ্যে দু'জন সাবেক সচিব তারা চাকরি শেষে অবসরে গেছেন আর ৩ জন বর্তমানে সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিভিন্ন সরকারী কাজ পেতে শামীমকে সহায়তা করা ছিল এইসব সচিবদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এছাড়াও এই সমস্ত সচিবরা যে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন সেখানে টেন্ডার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিতেন যেন এই টেন্ডারটি জি কে শামীমকেই দেওয়া হয়। এমনকি টেন্ডার প্রণয়ন পক্রিয়ায় এমনভাবে শর্তগুলো যুক্ত করা হতো যেন এই কাজ জি কে শামীম ছাড়া অন্য কেউ না পায়। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, জি কে শামীমের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যখন পূর্ণাঙ্গ মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন এই উর্ধ্বতন সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। যারাই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারা যেই হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।






















