ডেস্ক রিপোর্ট।।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের শীর্ষ নেতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।
ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বৈঠকে বসা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজিবির (হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ) শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকারসহ (৪৯) তিনজনকে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্য দুই নেতা হলেন- মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২) ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৩)।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল, রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদের মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ডিএমপি জানায়, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার হুজিবির মুফতি হান্নানের ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক। পরে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম দিকে তিনি দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার পাকিস্তান যান।
ইতোমধ্যে সংগঠনকে গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর করেছেন এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন সময়ে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহেরীসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন জুলফিকার।
এছাড়া, অপর দু’জন মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনি জেলার দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানা গেছে। তারা বর্তমানে কাশ্মীর সমস্যা এবং রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে পরস্পর যোগসাজশে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন বলে জানায় ডিএমপি।






















