ডেস্ক রিপোর্ট ।।
অস্ত্র ও মানিলংন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পে মাদক ও চোরাই গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবসার নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এই কাজে সহায়তা করে, জেনেভা ক্যাম্পের মোর্তজা আহমেদ খান এবং মাছুয়া শহীদসহ একাধিক ব্যক্তি। পুলিশ বলছে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় এতোদিন আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি।
মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের আলোচিত নেতা হাবিবুর রহমান মিজান। হোটেল বয় থেকে ফ্রিডম পার্টির নেতা। এরপর সময়ের বিবর্তনে পাল্টে ফেলেন রাজনীতির খোলস, বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা। বর্তমানে তিনি ঢাকা উত্তর সিটির ৩২ নম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে তিনি গড়ে তুলেছেন অপরাধ সাম্রাজ্য ও বিত্তের পাহাড়। ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পে মাদক ও চোরাই গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ মিজানের হাতে। স্থানীয়রা জানান, পুরো জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক তিনি। আর তার এই কাজে সহায়তা করে মোর্তজা আহমেদ খান এবং মাছুয়া শহীদ। তারা দুজনই মাদক, চাঁদাবাজি ও চোরাই গ্যাস-বিদ্যুতের টাকা তুলে দেয় মিজানকে।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে ক্যাম্পবাসীর সংঘর্ষের নেপথ্যেও এই মিজান জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ক্যাম্প-লাগোয়া কাঁচাবাজার ও মাছ বাজারের শতাধিক দোকানে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ কর্মকর্তা তাকে অপকর্মে সহযোগিতা করেন এমন অভিযোগের কথা স্বীকার করলেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ক্যাসিনোকাণ্ডের সূত্র ধরে শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে মিজানকে আটক করে র্যাব। শুক্রবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মানি লান্ডারিং আইনে ও মৌলভীবাজারে অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির হেফাজতে।






















