অপরাধ ও দুর্নীতি ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ ০৮:৫৫

রাজধানীতে ফের প্রেমিককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ

ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর বংশাল আগামাসি লেন এলাকায় বাসায় ডেকে নিয়ে জিআই তার গলায় পেঁচিয়ে সজীব (১৯) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেনি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে ওই যুবকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত সজিবের মা নূর নাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে সজিবের একই এলাকার খাদিজা নামের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে ওই মেয়ে সজিবকে নানাভাবে দূরে ঠেলতে থাকে। আজকে খাদিজা তার মামার বাসায় ডেকে নিয়ে সজিবের গলায় ও হাতে জিআই তার পেঁচিয়ে মারপিট করে হত্যা করে। তারা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার সঠিক বিচার চাই।

নিহতের বাবা তাজ উদ্দিন বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বংশাল থানার এসআই দুলাল আমাকে ফোন করে বলেন, “আপনার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।” পরে আমরা এসে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। তার গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার ছেলেকে খাদিজা তার মামার বাসায় ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

এদিকে বংশাল থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল মিয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বংশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোহেল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি দুলাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান। পরে সিআইডির ক্রাইম সিন এসে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা বা অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওই যুবক এসএসসির পর আর লেখাপড়া করেনি, বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।

মরদেহ তার নিজের বাসায় পাওয়া যায়নি অন্য বাসায় পাওয়া গেছে এবং এটি একটি প্রেম-সংক্রান্ত ঘটনা কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। থানায় সিনিয়র স্যাররা আছেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এর আগে, গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলা নামের একটি পাঁচতলা ভবনের সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে জানা যায়,  ওই ভবনের একটি বাসায় মহানগর মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে মাহির রহমান নামে আরেক কলেজছাত্রের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে গত একবছর ধরে ওই ছাত্রীকে টিউশনি করান জোবায়েদ। পড়ানোর সুবাধে জোবায়েদকে পছন্দ করতে শুরু করেন বর্ষা। এ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি প্রেমিক মাহির। এ ঘটনায় জেরেই জোবায়েদকে হত্যা করা হয়।