ডেস্ক রিপোর্ট।।
গৃহায়ন এবং গণপুর্ত মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনে বিগত দিনে যারা অবৈধ সুবিধা ও টেন্ডার বাণিজ্য করে একাধিক সরকারি প্রজেক্ট বাগিয়ে নিয়েছে এমন ব্যক্তিদের তালিকা তৈরী করছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে যোগসাজশ করে বড় বড় প্রকল্পের কাজগুলো বাগিয়ে নেয়া হয়। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব বঞ্চিত হয়।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত যারা গৃহায়ন ও গণপুর্ত অধিদপ্তর দাপিয়ে বেড়াতেন তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে অনুসন্ধান চলছে।
সূত্র থেকে আরও জানাযায়, বর্তমানে সংসদ সদস্য এমন এক যুবলীগ নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক এক সভাপতির একক নিয়ন্ত্রণে ছিলো ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। ঐ দু নেতার অঙ্গুলী নির্দেশেই সিটি কর্পোরেশনের বড় বড় কাজ ভাগ-বাটোয়ারা হতো। অবৈধ কাজের মাধ্যমে ঐ দু নেতা বড় ধরনের অর্থ সুবিধা নিয়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে। সংসদ সাংসদ ঐ যুবলীগের নেতার ব্যাপারে ইতিমধ্যে দুদকের তদন্ত চলছে তাছাড়া সম্প্রতি তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া গনপুর্ত ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রনকারীদের মূল হোতা যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালিদ মাহমুদ ভূইয়া ছাড়াও যারা এ মন্ত্রণালয়ে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে তালিকা তৈরী হচ্ছে।
জানা গেছে, ছোট বড় মিলিয়ে আনুমানিক ৫০ জনের একটি তালিকা বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। তবে সে তালিকার নাম যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীমের দৃষ্টি আর্কষন করা হলে তিনি বাংলা ইনসাইডারকে জানান, এ ধরনের তালিকা তৈরীর কাজ চলমান অভিযানের একটি অংশ। তবে তিনি জানান, মন্ত্রণালয় নিজ উদ্যোগে অসাধু ঠিকাদারদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছে। বিগত দিনে যারা অবৈধ সুবিধার মাধ্যমে সুযোগ নিয়েছেন তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে যদি বড় কোন কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকে তাহলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।