শিক্ষা ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ১১:৪৬

তুরস্কে উচ্চশিক্ষার অজানা কথা

ডেস্ক রিপোর্ট

তুরস্কে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী। তুরস্কে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহীদের জন্যই আজকের এই লেখা। বর্তমানে বাংলাদেশীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য অন্যতম পছন্দ তুরস্ক।

প্রতি বছর প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সরকারি স্কলারশিপ এর মাধ্যমে তুরস্কে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পায়। এর মধ্যে পিএইচডিতে ১৫-২০ জন, মাস্টার্সে ৩০ জন, এবং বাকী ৫০ জন অনার্সে সু্যোগ পায়।

স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা:
১) অনার্সের ক্ষেত্রে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ প্রয়োজন। আন্তজার্তিকভাবে ৭০ % নম্বর প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে জিপিএ ৫ ছাড়া চান্স খুব একটা পায় না।
২) মাস্টার্স ও পিএইচডির ক্ষেত্রে ৭৫% নম্বর প্রয়োজন। অর্থ্যাৎ সিজিপএ ৩.৫০ বা ৩.৫০ প্লাস।
৩) ইংরেজি ভাষা লিখতে ও বলতে দক্ষ হতে হবে। আইলেটস গ্রহণযোগ্য নয়। টোফেল গ্রহণ করে। তাই টোফেলে ভালো স্কোর আব্যশক।
৪) মাস্টার্স ও পিএইচির ক্ষেত্রে ১ বা ২টি একাডেমিক পাবলিকেশন থাকা।
৫) এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিজ এ সক্রীয় থাকা ও প্রমাণ পত্র থাকা।

স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা:
১) টিউশন ফি ফ্রী।
২) থাকা ও খাওয়া বিনামূল্যে বা ফ্রী।
৩) হেলথ কেয়ার ফ্রী।
৪) প্রথমবার আশা ও ফিরে যাওয়ার এয়ার টিকিট বিনামূল্যে বা ফ্রীতে দেওয়া হয়।
৫) তুর্কী ভাষা শেখার কোর্ষ ১ বছরের জন্য ফ্রী।
৬) মাসিক হাতখরচা দেওয়া হয়। অনার্সে ৭০০ লিরা (যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৫৮৪ টাকা)। মাস্টার্সে ৯৫০ লিরা (যা বাংলাদেশী টাকায় ১০২৭৫ টাকা)। পিএইচডিতে ১৪০০ লিরা (যা বাংলাদেশী টাকায় ১৫১৪৩ টাকা)

স্কলারশিপের জন্য আবেদনের সময়সীমা:
জানুয়ারি মাসে ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন করার সময় শুরু হয়। মার্চ বা মে মাসে শেষ হয়।

স্কলারশিপেরর জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া:
ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে আবেদন করতে হয়। ওয়েবসাইট লিংক- https://www.turkiyeburslari.gov.tr/en/english-home/

বাচাই প্রক্রিয়া:
প্রাথমিক বাচাইয়ে কৃর্তকার্য হলে আবেদনের এক মাসের মধ্যে ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় বাংলাদেশেই। জুলাই বা আগষ্টে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তুরস্কের সেরা ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়-
১) Middle East Technical University
২) Bo
ğaziçi University
৩) Istanbul University
৪) Ankara University
৫) Gazi University
৬) Hacettepe University
৭) Anadolu University

 

সুত্র: স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স