ঢাবি প্রতিনিধি: নতুন ছাত্র সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র আত্মপ্রকাশের দিনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসির অদূরে পরমাণু শক্তি কমিশনের গেটে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ সংগঠনটির দশ নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্যসচিব নাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর এ হামলা চালিয়েছে।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তানভীর হাসান সৈকত ‘হামলাকারীদের’ বিচার দাবি করেছেন।
এর আগে আখতার হোসেন ডাকসু ভবনের সামনে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’ নামে নতুন ছাত্রসংগঠন ঘোষণা করেন এবং মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে রিকশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের অনুসারীরা হঠাৎ এসে রিকশা থেকে আখতারকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরাও আহত হন। এরপর হামলাকারীরা বাইক নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন।
হামলায় আহতরা হলেন- গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব নুসরাত তাবাসসুম ও আসাদুল্লাহ আল গালিব, ঢাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল হাসান ও নুসাইবা তাসনিম সাবা, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল হান্নান মাসউদ, সদস্য নিশিতা জামান নিহা, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সুমনা শারমিন ও সাদিয়া ইয়াসমিন ঐতিহ্য।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তানভীর হাসান বলেছেন, ‘আমি ঘটনার নিন্দা জানাই। এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করছি। ছাত্রলীগের কেউ যদি এরসঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব। আখতার আমাকে ও সভাপতিকে (মাজহারুল ইসলাম শয়ন) ফোন করে সহযোগিতা চেয়েছে। আমরাও তাকে আশ্বাস দিয়েছি। সে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছে, আমি তাকে ডাকসুর সামনে করতে বলেছি। তারা সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেছে, রাজুতে সমাবেশ করেছে। কেউ তাদেরকে বাধা দেয়নি। তাদেরকে বাধা দিলে তো আমরা আগেই দিতে পারতাম। তার সঙ্গে তো আমাদের আদর্শিক দ্বন্দ্ব নেই।’
আমাদেরকাগজ/এইচএম






















