আইন ও আদালত ১৪ নভেম্বর, ২০২০ ০১:৩৮

অস্ত্র ও মাদক মামলা

ইরফান সেলিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় বরখাস্ত হওয়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুটি মামলায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. শওকত আকবর গণমাধ্যমকে জানান, আজ ঢাকার চিফ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ২৫ অক্টোবর রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরের দিন ২৬ অক্টোবর সকালে জাতীয় সংসদের সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দিপু, মো. জাহিদ ও মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমণ্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ওয়াসিফ আহমদ খান।

ওই দিন দুপুর থেকে র‍্যাব সদস্যরা রাজধানীর চকবাজারের ২৬ দেবীদাস ঘাট লেনে ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ী’-তে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযান শেষে অবৈধ ওয়াকিটকি ও মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী মো. জাহিদকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর রাতে দুজনকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

অপরদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় গত ২৬ অক্টোবর গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। একই মামলায় গত ২৭ অক্টোবর ইরফানের সহযোগী আসামি দিপুকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বিভিন্ন সময়ে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।