ডেস্ক রিপোর্ট
ব্লগার অভিজিত হত্যা মামলার ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২০ জানুয়ারি মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে এ আর্জি জানানো হয়।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। এদিন এক আসামি আবু সিদ্দিক সোহেলের পক্ষে আইনজীবী এবিএম খায়রুল ইসলাম লিটন যুক্তিতর্ক শেষ করেন। এরপর অসমাপ্ত যুক্তিতর্কের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন আদালত
গত ২৭ জানুয়ারি কারাগারে থাকা চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর আদালত ৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, শফিউর রহমান ফারাবী, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান। এদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক। তাই তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখতে পারেননি।
২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর একই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
