আইন ও আদালত ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০৩:৫০

ধান চুরির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ কারাগারে ৯

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ চুরির মামলায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে ধান চুরির অভিযোগ উঠে। 

আজ (রোববার) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে একই দিন দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ জামিন না-মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন, নুরুল আমিন, অজি উল্যাহ, আদনান আমিন, ফরহাদ হোসেন, ইফতেখার হোসেন শাওন, খোরশেদ আলম, সফি উল্যাহ ও নোমান পাটওয়ারী। তারা রামগতি উপজেলার চরসীতা গ্রাম ও কমলনগরের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা আত্মীয়-স্বজন।

বাদী জামানারা আক্তার লিনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী। আসামি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন তার চাচা।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম ও তার বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর ৪ একর ৪৫ শতাংশ জমিতে থাকা ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। ধানগুলোর বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা ছিল। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর লীনা বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়। চলতি বছর ১৫ মার্চ রামগতি থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়।

বাদীর আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন জানান, রোববার আদালতে মামলার শুনানির পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল। এতে বাদী ও আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আসামিরা জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আমাদেরকাগজ/এমটি