ডেস্ক রিপোর্ট ।।
সৌদি আরবে কর্মের সন্ধানে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হওয়া হুসনা আক্তার (২৪) নামের আরেক বাংলাদেশি নারীকর্মীর ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের হুসনা আক্তার নামের ওই গৃহবধূ আর্থিক সচ্ছলতার আশায় গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে ১৭ দিন আগে ‘আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন’ নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সেখানে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামী শফিউল্লাকে ভিডিও বার্তা পাঠান তিনি।
হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জের হুসনা আক্তার (২৪) তার ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি মোছা. হুসনা আক্তার। দালালে ভালা কথা কয়ে আমাকে সৌদিতে পাঠিয়েছে। নাজরান এলাকায় আমি কাজ করি। আমি এসে দেখি ভালা না। ওরা আমার ওপর অত্যাচার করে। আমি ১০/১২ দিন হয়েছে এখানে আছি। এখন এরার অত্যাচার আমি সহ্য করতে পারি না দেখে বলেছি আমি দেশে যাব। এই কথা বলায় ওরা আরও বেশি অত্যাচার করে।
ওই নারী বলেন, আমি এজেন্সির অফিসে ফোন দিছি। অফিসের এরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমি আর পারছি না। তোমরা যেভাবে পার আমারে বাঁচাও। এরা আমারে বাংলাদেশ পাঠাতে চায় না। এরা আমারে ইতা করছে। দালালে আমারে ভালো কাজের কথা পাঠিয়েছে। আমি আর পারছি না। তোমরা যেভাবে পার আমারে দেশে নেও।
হুসনার স্বামী আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন এজেন্সিতে গিয়ে এসব কথা জানালে এজেন্সির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। হুসনা সম্পর্কে কূরুচিপূর্ণ মন্তব্যও করেন। শফিউল্লা উপায় না পেয়ে স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য ওই ভিডিও তার এক ভাইয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহিন নামের একজন দালাল আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মীর কাজে হুসনাকে সৌদি পাঠায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে সুমি আক্তার নামের বাংলাদেশি এক নারী কর্মীর ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।