উন্নয়ন সংবাদ ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৭:৫৭

সরিষা ফুলে রঙিন স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরিষার ব্যাপক ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। সরিষা বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

সরিষা চাষি আমিন জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তার ব্যয় হয়েছে ৪০০ টাকা করে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৩ মণ সরিষা আসবে। গত বছর প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৪০০ টাকায়।

বাজারদর ভালো পেলে এবারও তিনি সরিষা বিক্রি করে লাভবান হবেন। সরিষার ফুল আসে এক মাস পর। দেড় মাস পর ফুলে সরিষা ধরে। চাষের তিন মাস পর সরিষা পরিপক্ব হয়।

ঈ

চাষি আবেদ আলী জানান, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ১ হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সরিষার ফুলে খেত ভরে গেছে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৪ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। বাজার ভালো পেলে প্রতি মণ ১৫-১৮শ টাকা বিক্রি হবে।

চাষি মইনুল জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষা ফুলে মাঠ ভরে গেছে। দেখে খুবই আনন্দ লাগছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে ও জাত পোকার আক্রমণ থেকে সরিষা খেত রক্ষা করতে পারলে সরিষার ব্যাপক ফলন হবে। বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ব্যয় হয় ৩-৪ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা খেত জাত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, এঁটেল-দোঁআশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়।

সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।