তুষার আহম্মেদঃ সবুজ গাছে সাদা ফুল। প্রথম দেখাতে বেলি ফুলের মত দেখতে মনে হলেও এটি মূলত কফি ফুল। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ের ঢালে এগুলো চাষ করা হয়।পার্বত্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে কফি চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ের উঁচু স্থানসহ পানি জমে না এমন স্থানে চাষ করা যায়। কফি চাষের জন্য ছায়া যুক্ত স্থান বেশি উপযোগী।আলাদা কোন বাগান তৈরি না করেও অন্য গাছের নিচে কফি চাষ করা যায়। কফি গাছের রোগ বালাইও কম।
কফি গাছে সাধারণ মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে। এছাড়া বার কিংবা জানুয়ারি মাসে কফি সংগ্রহ করা হয়। ফোন থেকে কপি সংগ্রহ করতে সময় লাগে নয় থেকে দশ মাস। উল্লেখ্য,কফি পচনশীল না হওয়ায় দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
কফি চাষি পাইসা অং মারমা জানান,খাগড়াছড়ি জেলা সদরের আলুট্টিলা এলাকায় চার একর জায়গা আড়াই হাজার কফির চারা রোপণ করেছেন তিনি। বর্তমানে তার গাছের অধিকাংশ গাছে ফলন এসেছে। এছাড়া ইতিমধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি কফি কিনার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রথমিক উদ্যেগ এ সফল হওয়ার পর ,বীজ বোর্ডের অপেক্ষায় রয়েছে খাগড়াছড়ি পাহাড়ির কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কফি চাষ। অনুবেদন পেলে এটি হবে দেশের প্রথম বারের মত নিজস্ব কফি জাত।সূত্র,ডিবিসি নিউজ
আমাদের কাগজ/এমটি