আমাদের কাগজ রিপোর্ট: ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য সেতু উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই হিসেবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর পূরণ হলো আজ।
গত এক বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি। ২০২২ সালের ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া পদ্মা সেতুতে গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ৬০৩ কোটি টাকা টোল আদায় হয়েছে। এর পরের (এপ্রিল-মে ও জুনের প্রথম ২০ দিন) তিন মাসে টোল আদায়ের পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০০ কোটি টাকার বেশি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত চার কিস্তিতে মোট ঋণের ৬৩২ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সেতু কর্তৃপক্ষ আলাদাভাবে ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির ৩১৬ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছে। প্রথম দফায় দুই কিস্তির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল। দ্বিতীয় ও চতুর্থ কিস্তির অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে চলতি বছরের ১৯ জুন। এ পর্যন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ বিভাগ থেকে নেওয়া ঋণের মোট চার কিস্তির অর্থ পরিশোধ করেছে সেতু বিভাগ।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হলেও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে টাকা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। ১% হারে সুদসহ এই অর্থ ফেরত দিতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে। সেই হিসাবে ২০৫৭ সালের মধ্যে সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে।
যানবাহন চলাচলের টোল আদায়ের টাকা দিয়ে ৩৫ বছরে ১৪০টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে সরকারের অর্থ বিভাগের দেওয়া ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। দেশের মানুষের স্বপ্নের এই সেতুর বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বলা হচ্ছে। শুধু এই সেতুর কারণেই বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অতিরিক্ত ১% বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
আমাদের কাগজ/টিআর