স্বাস্থ্য সেবা ২২ জুলাই, ২০২৩ ০৫:৩৭

ডেঙ্গু পজেটিভ হলে করণীয় 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: চারদিকে জ্বর, সর্দি যেন ভাইরাসঘটিত রোগের মতো ছড়াচ্ছে। এদিকে ডেঙ্গু ঝুঁকিতে সতর্কবার্তা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে বলা হয়, চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে এই রোগটি রেকর্ড করতে পারে। এছাড়া বিশ্বের অর্ধেক মানুষ বর্তমানে মশাবাহিত ডেঙ্গু ঝুঁকিতে বলে জানান এই সংস্থাটি।  ডেঙ্গু পজেটিভ হলে কী করবেন? 

 

করণীয়

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর বলেন, ‘ডেঙ্গুরোগীর জ্বর ১০২ ডিগ্রির নিচে থাকলে ৬ ঘণ্টা পরপর প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে। আর ১০২-এর ওপরে গেলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি দিতে হবে। বেশি বেশি ডাবের পানি, স্যালাইন ও ফলের জুস খাওয়াতে হবে। খাওয়ার রুচি না থাকলেও জোর করে খাওয়াতে হবে। 

তিনি বলেন, রোগীকে প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনও ব্যথার ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। কারণ, ব্যথানাশক কোনও ওষুধ খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। 


তিনি আরও বলেন, ‘‘সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু সেরে যায়। তারপরও হেমোরেজিক ফিভারের মধ্যে এক ধরনের রোগী রক্তপাত নিয়ে আসতে পারে। আরেক ধরনের রোগী সরাসরি শকে চলে যেতে পারে। হেমোরেজিক ফিভারের মধ্যে যারা শকে চলে যাচ্ছে, তাদের এক্সটেনডেট ডেঙ্গু ‘শক সিনড্রম’। যা হলো অস্থিতিশীল বা ঝুঁকিপূর্ণ। এ ধরনের রোগীদের মৃত্যুও হতে পারে। তাই, দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।’’

স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কবার্তা

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আগাম যে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, বাস্তব পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ হচ্ছে দিন দিন। এর আগে জুলাইয়ের ২০ তারিখ পর্যন্ত কখনও ডেঙ্গুতে এত আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়নি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৭ হাজার ৫৪৭ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই খোদ রাজধানীর বাসিন্দা। আর ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৫৫ জন।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, বেশিরভাগ নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে- চলতি বছর ডেঙ্গুর ‘ডেন-২’ ধরনে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ৬২ শতাংশ রোগীই ডেঙ্গুর ‘ডেন-২’ ধরনে আক্রান্ত। আর ৩৮ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছেন ‘ডেন-৩’ ধরনে। 

ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই দেশব্যাপী আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, ডেঙ্গু সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এবং এর আশপাশের এলাকা। মোট আক্রান্ত রোগীর ১৩ শতাংশই এই এলাকার বাসিন্দা। সারা দেশের আক্রান্ত রোগীর ৩৮ শতাংশ রাজধানী ঢাকার আটটি এলাকার বাসিন্দা। অর্থাৎ রাজধানীতে আটটি এলাকা ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে।


আমাদেরকাগজ/এমটি