জাতীয় ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০৫:৫৮

সিসার দূষণ থেকে বাঁচাতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিসা আমাদের জন্য ক্ষতিকারক একটি পদার্থ। শিশু ও নারীসহ সকলের দেহের সিস্টেমকে প্রভাবিত করে সিসা। তবে সিসার দূষণ থেকে বাঁচাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের আয়োজনে ‌‘লিড পয়জনিং ইন বাংলাদেশ : রিসার্চ এভিডেন্স ফর আর্জেন্ট অ্যাকশন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ইউনিসেফের উদ্যোগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসে, সিসার বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত বাংলাদেশের সাড়ে তিন কোটি শিশু। লিড অ্যাসিড ব্যাটারি রিসাইক্লিং, টার্মারিক ও রং কারখানা এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্য পেন্সিল, কালি, খেলনা বা গহনাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ব্যবহৃত সিসা থেকে ছড়াচ্ছে এ বিষক্রিয়া।

গবেষণা বলছে, বড়দের তুলনায় শিশুদের শরীরে সিসার প্রভাব বেশি। শিশুদের রক্তে সিসা মিশে গিয়ে সারা জীবনের জন্য স্নায়ুবিক, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে। মস্তিষ্ক আক্রান্ত হচ্ছে, স্মরণশক্তি কমছে, অনেক ক্ষেত্রে কোমায় চলে যাচ্ছে শিশুরা।

সিসার বিষক্রিয়া ঠেকাতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, সিসা দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। পরিবেশ অধিদপ্তর প্রায়ই অবৈধ ব্যাটারি উৎপাদন এবং পুনর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করছে। শুধু আইন প্রয়োগই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে পারে না বরং আমাদের ব্যাপক সচেতনতা প্রয়োজন। 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকারি উদ্যোগের ফলে যানবাহনে সিসা মুক্ত জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহারের প্রায় ৮৫ শতাংশ‍ই সিসাই সিসা-অ্যাসিড ব্যাটারি তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। পেইন্ট ও মশলায় সিসাও আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। 

মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রথমে ২০০৬ সালে এবং আবার ২০২১ সালে এসআরও জারি করে। এসআরওতে সিসা অ্যাসিড ব্যাটারির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ, পরিবেশগতভাবে নিরাপদ রিসাইক্লিং, ব্যাটারি ব্রেকার, ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, আমদানিকারকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং রিপোর্টিং সিস্টেমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

আমাদের কাগজ//জেডআই