নিজস্ব প্রতিবেদক : কোটাবিরোধী আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলার ঘোষণা দেওয়া হলেও তাদের খুব একটা মাঠে দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। তাই নিজেদের এসব দুর্বলতা চিহ্নিত করে দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠার নির্দেশনা দেওয়া হয় নেতাদের।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠক সূত্র বলেছে, বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় সাড়ে ৩টার দিকে। বৈঠকে অংশ নেওয়া কমপক্ষে ১০ জন সদস্য জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের ব্রিফ করেন সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাড়া আর কেউ বক্তব্য দেননি।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ রকম সহিংসতা সামনেও হতে পারে। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। যেসব এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের দুর্বলতা আছে তা ঠিক করতে হবে। উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, রামপুরা এলাকায় সহিংসতা করার সুযোগ কেন বেশি পেয়েছে আন্দোলনকারীরা, সেখানে দলের ব্যর্থতা আছে কি না তাও কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে বলেছেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে সংগঠনের কিছু ব্যর্থতার কথা ওবায়দুল কাদের তুলে ধরেন বলে সূত্রে জানা গেছে। এক নেতা বলেন, বিশেষ কিছু অঞ্চলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন সহিংসতা ঘটল তাও জানতে চান। এ ছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর থেকে উত্তরায় এসে হামলার শিকার হওয়ার বিষয়টিও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ঢাকা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, এমপি, মেয়র, কাউন্সিলরদের নিয়ে সমন্বয় সভা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকের বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমরা গা-ছাড়া হয়ে গেছি। আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক।’
বৈঠকে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের গত কয়েক দিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করতেও দেখা যায়। একজনকে বলতে শোনা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরে এখানে অনেক নেতা-কর্মীকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের দুঃসহ পরিস্থিতিতে বেশির ভাগকে দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে, গর্ত থেকে সবাই বের হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরও অনেকেই বের হবেন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, সামনে ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী আড্ডা দিচ্ছেন। তাঁদের প্রায় সবাই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মী। তাঁদের একজন বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা সামনে এসেছে। অনেক প্রভাবশালীর এলাকায় অরাজকতা হয়েছে, কিন্তু তাঁদের তেমন দেখা যায়নি। এবার দুঃসময়ের নেতা-কর্মীরা সামনে ছিলেন।’
আমাদের কাগজ/টিআর
- বঙ্গাব্দ, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ইং, সোমবার
আরো খবর
নেতাদের আমন্ত্রণ নিয়ে বিভ্রান্তি, দুঃখ প্রকাশ বিএনপির
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আশাব্যঞ্জক উন্নতি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫
দেশেরই কিছু মানুষ ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল
১১ জানুয়ারি, ২০২৫
কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি
১১ জানুয়ারি, ২০২৫
দায়িত্ব পেলে আমরা ধর্ম ও দল দেখব না : জামায়াত আমির
১১ জানুয়ারি, ২০২৫
পরাশক্তিগুলোর ‘সমর্থন’ চাইবে আওয়ামী লীগ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ দেলোয়ার হোসেন ফারুক
প্রকাশক কর্তৃক শাহ্ আলী টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা), ৩৩ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, সুত্রাপুর, ঢাকা থেকে মুদ্রিত। ফোনঃ ০২-৮১৮০২০২।
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আমাদের কাগজ (২০১২-২০২০)