শিক্ষা ২১ মার্চ, ২০২৫ ১১:৩৮

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত পোনে ২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ঢাবির হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এসময় সমাবেশ থেকে শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাবি রাজু ভাস্কর্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ধরি ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না’, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে’, সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘আওয়ামী লীগের চামড়া, তুলে নেব আমরা’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাইয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যারা গণহত্যার করেছিল এবং মদদ দিয়েছিল সেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে দেখিনি। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভাবনা নেই এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

ঢাবি শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, যে বাংলায় আবু সাইদ প্রাণ দিয়েছে, ওয়াসিম প্রাণ দিয়েছে সে বাংলায় আওয়ামী লীগ থাকতে পারবে না। আন্দোলনে ২ হাজারের অধিক মানুষ প্রাণ দিয়েছে, হাজার হাজার আহতরা এখনো অনেকে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যদি এই সরকার বলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে না এর থেকে বড় লজ্জা হতে পারে না। যে বাংলায় আওয়ামী লীগ গণহত্যা করেছে সেখানে তারা থাকতে পারবে না। আমরা তা মেনে নেব না।

তিনি বলেন, শহীদের রক্তের সাথে কোনো চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে  আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায় মাথায় নিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করে জনমত নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।

ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, এখন ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা আওয়ামী লীগকে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ দিয়ে দিয়েছে। এদেশে আওয়ামী লীগ থাকবে নাহলে ছাত্রসমাজ থাকবে। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত এদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার সিদ্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানায়। আপনারা শহীদদের এবং আহত ভাইদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা যদি তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের বলিষ্ঠ অবস্থান থাকবে।