রাজনীতি ২ মে, ২০২৫ ১০:২৬

সেক্টরভিত্তিক শ্রমিকদের ভিন্ন ভিন্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেছেন, ধনী-গরিবের বৈষম্য ভেঙে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা আমাদের স্বপ্ন। প্রতিবছরই সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সবাই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ১ মে শ্রমিক দিবস পালন করে। দিনশেষে আমাদের শ্রমিক ভাইবোনদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। কাজেই দিবস উদযাপনের ঊর্ধ্বে উঠে শ্রমিকদের সত্যিকারের ভাগ্যোন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে এবি পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এবি পার্টির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আবু রাইয়ান রছি শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক আজিজা সুলতানা, প্রহরী সমিতির সভাপতি রিপন মাহমুদ, সহকারী দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, নারী নেত্রী রাশিদা আক্তার মিতু, যাত্রাবাড়ী থানা আহ্বায়ক আরিফ সুলতান।

সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম আরও বলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই তার পাওনা পরিশোধের কথা ইসলামে বলা হয়েছে।  ন্যায্যতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে শ্রমিক। ইনসাফ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক নির্ধারণ করতে হবে। 

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা বলেন, সেক্টরভিত্তিক শ্রমিকদের আলাদা আলাদা পারিশ্রমিক নির্ধারণ করাতে হবে। প্রতিদিন শ্রমিকদের লড়াই  শুরু হয় ভোরবেলায় হাতে হাতুড়ি, কাঁধে শাবল, পিঠে বস্তা তাদের কোনো ছুটির দিন নেই, নেই ঘড়ির কাঁটার হিসাব। শ্রমই যাদের জীবনের ধ্রুবতারা, তারা আমাদের সমাজের নীরব সৈনিক। ১ মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, এটি শুধুই একটি দিন নয় যেটি কেবল উৎসবের, বরং এটি কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার সেই সময়ে যে বৈষম্য করেছিল তার জের ধরে ধীরে ধীরে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে হাসিনার পতন ঘটে এবং সেই সঙ্গে আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার প্ল্যাটফর্ম পাই। আমরা এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে কাজ করে যাচ্ছি। 

এবিএম খালিদ হাসান বলেন, মে দিবস যেমন বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ে শ্রমিকরা নিজেদের অধিকার বুঝিয়ে নিয়েছিল। ঠিক তেমনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের ছাত্রজনতার নেতৃত্বে জুলাই অভ্যুত্থান ঘটে। শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষ প্রতিনিয়ত আয়নাবাজি করছে। এই আয়নাবাজি বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।