ডেস্ক রিপোর্ট
শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর জন্মদিন আজ। তার জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল ডুডল প্রকাশ করেছে। ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন মুনীর চৌধুরী।
গুগলে প্রবেশ করলেই বিশেষ এ ডুডল দেখতে পাবেন সবাই। এতে দেখা যাচ্ছে, গুগলের লোগোর মাঝখানে শহীদ মুনীর চৌধুরী খোলা বই হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। গায়ে শাল জড়ানো। চোখে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। তার জন্মদিন উপলক্ষে গুগলের লোগোও বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। সে লোগোর ওপরে ক্লিক করলেই মুনীর চৌধুরীর ছবিসহ তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে গুগল থেকে।
তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে। তার বাবা ছিলেন ইংরেজ আমলের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী। চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন দ্বিতীয়।
১৯৪১ সালে মুনীর চৌধুরী ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আই.এস.সি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে বি.এ অনার্স (১৯৪৬) ও এমএ (১৯৪৭) পাস করেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় এবং ১৯৫৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে মুনীর চৌধুরী খুলনার ব্রজলাল কলেজ (বি এল কলেজ)-এ অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (১৯৫০) এবং শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ও বাংলা বিভাগে (১৯৫০-৭১) অধ্যাপনা করেন। তিনি তার জীবনে রেখে গেছেন জনপ্রিয় সব উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক। তার উল্লেখ্যযোগ্য নাটক রক্তাক্ত প্রান্তর (১৯৬২), কবর (রচনাকাল ১৯৫৩, প্রকাশকাল ১৯৬৬), মানুষ(১৯৪৭), নষ্ট ছেলে(১৯৫০), চিঠি (১৯৬৬)ইত্যাদি।
গুণি এই ব্যক্তি একাধারে ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং বুদ্ধিজীবী। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে তিনি নিহত হন। তিনি একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি শহীদ হন।