আন্তর্জাতিক ৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০১:২৭

আন্তর্জাতিক গণমাধ্য‌মে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের খবর 

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ আরো একবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাক্ষী হয়ে থাকল রাজধানীবাসী। পুড়েছে রাজধানীর বঙ্গবাজার এলাকার লাগোয়া বেশ কয়েকটি মার্কেট। আগুনের সয়লাভের এ ঘটনা রয়টার্স, এপি, আলজাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান ও সিজিটিএন, ডেকান হেরাল্ড, আল আরাবিয়া নিউজ, আরব নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস-সহ প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা ও সংবাদমাধ্যমে এসেছে। 

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ছয়টার দিকে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এরপর থেকে প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা 

রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের খবর এসব মিডিয়া ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ঘটনার তাৎক্ষণিক খবরও প্রচার করা হয়।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে এই আগুন লাগার তথ্য পাওয়া যায় বলে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কীভাবে আগুন লেগেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ঢাকার বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রাফি আল ফারুক টেলিফোনে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ঢাকার পোশাক কারখানায় টমি হিলফিগার এর মতো পশ্চিমা ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য উৎপাদিত কিন্তু রপ্তানি মান পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়া কাপড় এই বঙ্গবাজারে বিক্রি হয়ে থাকে এবং এই কারণে অগ্নিকাণ্ডের শিকার মার্কেটটি সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয় গন্তব্য।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দুর্বল পর্যবেক্ষণ এবং যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবের কারণে বাংলাদেশের বহু বাণিজ্যিক স্থানে প্রায়ই আগুন লেগে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাত গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

যদিও বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড-সহ অতীতে অনেকবারই বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের এই শিল্পখাত।

রয়টার্স বলছে, দুর্বল নীতি ও সেগুলোর প্রয়োগ না থাকায় শিল্প সংশ্লিষ্ট নানা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে শত শত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া অনেকটা একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, আল আরাবিয়া নিউজ, আরব নিউজ, বিজনেস রেকর্ডার-সহ আরও অনেক গণমাধ্যম। 

উল্লেখ্য, ঈদ মুখি সময়ে এমন ঘটনা অনেক পরিবার ও ব্যাবসায়ীকে নিঃস্ব করেছে। পুড়েছে শত শত দোকানের সাথে স্বপ্নও। 

আমাদের কাগজ/এমটি