আন্তর্জাতিক ১৩ জুলাই, ২০২৩ ১২:২০

ধর্ষণের আসামির সঙ্গে কারাগারে প্রেম হত্যা মামলার আসামির, অতঃপর

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুই কয়েদি। এর আগে, ধর্ষণের আসামির সঙ্গে কারাগারে প্রেম হত্যা মামলার আসামি। কারাগারে পরিচয়, সে পরিচয় গড়িয়েছে প্রেমে। সম্পর্কটাকে স্থায়ী করতে তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুই কয়েদি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমানের একটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। জানা যায়, ওই দুই আসামির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ‍বুধবার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

তবে এই কোপত কোপতি আবদুল হাসিম ও শাহানারা খাতুনের চার হাত এক করার দায়িত্ব নেয় মানবাধিকার সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি। জেলার মন্তেশ্বরের কুসুম গ্রামে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

সূত্র অনুযায়ী, হাসিমের বাড়ি আসামের দোরাং জেলার দলগাঁও থানা এলাকার রঙ্গনগারোপাথার গ্রামে। আর শাহানারার বীরভূম জেলার নানুর থানার উচকারণ-বালিগড়ির বাসিন্দা। 

মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণের মামলায় হাসিম ৮ বছর ও খুনের মামলায় শাহানারা ৬ বছর ধরে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি। সেখানেই হাসিমের সঙ্গে পরিচয় হয় শাহানারার। পরিচয় গড়ায় প্রেমে।

তবে এবার দম্পতি পরিচয় পেয়ে খুশি দুজনেই। জানা যায়, মুক্তি না-মেলা পর্যন্ত শ্রীঘরবাসী হয়েই থাকতে হবে নবদম্পতিকে। প্যারোলে মুক্তি পাওয়া দুজনকে ১৬ জুলাই আবার কারাগারে যেতে হচ্ছে।

হাসিম ও শাহানারা জানান, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদশাতেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চান। তাতে তাদের দুজনের পরিবারের কেউই আপত্তি করেনি।

মানবাধিকার সংগঠনের কার্যকর্তা শামসুদ্দিন শেখ বলেন, ‘আবদুল ধর্ষণের মামলা ও শাহানারা খুনের মামলায় বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়েছিলেন। তা নিয়ে তাদের পরিবার কারামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল। আবেদন মঞ্জুর হলে তারা প্যারোলে মুক্তি পান। তবে ১৬ জুলাই ফের তাদের সংশোধনাগারে ফিরে যেতে হবে।’

আমাদেরকাগজ/এমটি